--- বিজ্ঞাপন ---

কিভাবে প্রবেশ করবেন শেয়ার বাজারে

0

শেয়ার বাজার শব্দটি এখন বাংলাদেশের সব ধরনের মানুষের কাছে পরিচিত। কোটি কোটি মানুষের তুলনায় বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা একেবারেই কম। দেশের অর্থনীতি এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে আরো বিপুল সংখ্যক মানুষ বিনিয়োগ করতে আসতে পারে। তবে বাজার নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার কারনে বিনিয়োগ করতে মানুষ পিছপা হন। তারপরও আগের চেয়ে স্বচ্ছতা এসেছে, এসেছে জবাবদিহতা। শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিরাপত্তা এখন আগের চেয়ে অনেক নিরাপদ। সরকারও চেষ্টা করে যাচ্ছে একটি শক্তিশালী শেয়ার বাজার তৈরির জন্য্ যে বাজার হবে বিনিয়োগ বান্ধব। দেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে এখন প্রবাসী বাংলাদেশীরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শীঘ্রই প্রবাসীরা শেয়ার বাজারে আসবে। এক সময় এই বাজার নিয়ে ইচ্ছে মতোন খেলা যেতো। এখন সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কারন যে কেউ ইচ্ছে করলে আগের মতোন বাজার উঠাতে বা নামাতে পারবে না। আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা তাতে মনে করি, এখন এই বাজারের ৮০ শতাংশই সাধারন বিনিয়োগকারী এবং বাকি ২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বা অন্যান্য। সাধারন বিনিয়োগকারীরা বাজার সর্ম্পকে যত অভিজ্ঞতা লাভ করবে বাজার ততই শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশের বাজার এখনও অনেক ছোট। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হলে বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই এ বাজার সর্ম্পকে ধারনা রাখতে হবে। অন্যথায় বিনিয়োগকারী যে উদ্দেশ্যে বাজারে এসেছে তার ফল পাবে না।

এবার আসি কিভাবে প্রবেশ করবেন এ বাজারে। আমি কোন জটিল বিষয় এখানে ব্যাখ্যা দেবো না। সহজ ভাষায় বলার চেষ্টা করবো। একজন নতুন বিনিয়োগকারী যার বয়স ১৮ বছরের বেশি তিনি এখানে শেয়ার ব্যবসায় আসতে পারেন। এটা অনেকটা ব্যাংক একাউন্টের মতোন। তবে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে অবশ্য ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে। ক্যাশ টাকার লেনদেন এর চেয়ে ব্যাংক একাউন্ট থাকাটা নিরাপদ বেশি।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের প্রথম পদক্ষেপ হলো যে কোন একটি ব্রোকারেজ হাউজে একটি একাউন্ট বা আইডি খোলা। বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে প্রবেশের জন্য দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের যে কোন একটির ব্রোকারেজ হাউজে গেলে হবে। দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের হয়ে যারা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেচাকেনা করে তাদের বলা ব্রোকার। এ ব্রোকার দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় আছে। ব্যাংকের মতো তারা তাদের শাখা খুলে ব্যবসা করছে। যে কেউ খুজঁলে পেয়ে যাবেন। তা না হলে গুগলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক মার্কেট মেম্বার বা ব্রোকার বা তাদের অফিস, ঠিকানা খুঁজলে অবশ্যই পাবেন। সেখানে দেখবেন ব্যাংকের মতোন আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে। আপনি ব্যাংকে একাউন্ট করার জন্য যে সব তথ্য লাগে ঠিক একইভাবে এখানেও লাগবে। যে কোন ব্রোকার হাউজে একাউন্ট খোলার পর আপনি সহজে লেনদেন করতে পারবেন। একাউন্ট খুললে এটিকে বলা হয় ‘বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট বা বিও অ্যাকাউন্ট’।  অ্যাকাউন্টকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা পাসপোর্টের ফটোকপির সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউসের নির্ধারিত ফি জমা দিলেই আপনার বিও অ্যাকাউন্ট নম্বর তৈরি হয়ে যাবে। এ বিও একাউন্ট হলো আপনার শেয়ার বেচাকেনার একটি বাক্স। এখানে সব কিছু তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এটির নিরাপত্তা দিতে সিডিবিএল নামক একটি প্রতিষ্ঠান আছে। যেটি নিয়ন্ত্রন করে স্টক এক্সচেঞ্জ। বিষয়টি ধীরে ধীরে বুঝে যাবেন। তবে আপাতত বিও একাউন্টটা হলো আপনার মূল তথ্য ভান্ডার। বিও একাউন্ট হবার পর তারা আপনাকে একটি আইডি দেবে বা কোড দেবে। যা গ্রাহক পরিচিতি নম্বর হিসেবে তাকে।। গ্রাহক পরিচিতি নম্বর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই  শেয়ার লেনদেন বা কেনাবেচা করতে পারবেন। তবে আপনি যে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে বিও খুলেছেন সেই হাউসের মাধ্যমেই লেনদেন করতে হবে। (চলবে)

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.