--- বিজ্ঞাপন ---

জেট ফাইটারের ককপিটে বসা পাইলটের হেলমেট আসলে কি রকম

0

বর্তমান সময়ে আধুনিক এবং নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার হচ্ছে জেট ফাইটারের ককপিটে বসা এর পাইলটের হেলমেটটি। আসলে এফ-১৮ সুপার হর্নেট, এফ-২২, এফ-৩৫, এসইউ-৫৭, এসইউ-৩৫ জে-২০ এবং ইউরোফাইটার তাইফুনের মতো ডেডিকেটেড হেভী এণ্ড লং রেঞ্জের জেট ফাইটারের ককপিটে বসা পাইলটের ব্যবহৃত হেলমেটটিকে কিন্তু অতি উচ্চ প্রযুক্তির হেলমেট_মাউন্টেড_ডিসপ্লে (এইচএমডি) প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করে ডিজাইন করা হয়ে থাকে।

হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লে (এইচএমডি) সিস্টেমটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো জেট ফাইটারকে না ঘুরিয়েই বিমানের পাইলট যে কোনো দিকে তাকিয়ে সেই দিকের টার্গেটকে লক্ করে এয়ার টু এয়ার মিসাইল ফায়ার করতে পারে। হেলমেট-মাউন্টেড ডিসপ্লে (এইচএমডি) আসলে এমন একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হেলমেট সিস্টেম, যা কিনা বিমানের পাইলটের চালকের চোখের কাছে কমব্যাট মিশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে এবং এ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে কিংবা কমাণ্ড করতে সহায়তা করে। যা অতি আধুনিক মানের এই জাতীয় প্রযুক্তি সমৃদ্ধ হেলমেটে আবার ভয়েস কমাণ্ডের মাধম্যেও পাইলট খুব সহজেই তার কাজটি করতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্টের এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটারে পাইলটের একটি উচ্চ প্রযুক্তির (এইচএমডি) হেলমেট তৈরিতে প্রায় ৪ লক্ষ ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকতে পারে। আর এটি উৎপাদন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Rockwell Collins and Elbit Systems of America। আবার ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এণ্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) ভারতের তেজাস লাইট কমব্যাট জেট ফাইটারের পাইলটদের জন্য এরুপ অত্যাধুনিক এবং উচ্চ প্রযুক্তির এইচএমডি হেলমেট ডিজাইন করেছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.