--- বিজ্ঞাপন ---

এক মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে বিব্রত কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস

0

এক মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে বিব্রত কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস। শেষপর্যন্ত দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বিবৃতি। অভিযোগ উঠেছে, এই মোহাম্মদ আলী বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রবাসীদের ভূল বুঝাচ্ছে। মোহাম্মদ আলীর ব্যাপারে কাতারের অনেক প্রবাসীরও নানা অভিযোগ ফেসবুক কমেন্টে দেখা যায়।

কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক মোহাম্মদ আলী বেশ কিছু দিন যাবত বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দূতাবাসের বিরুদ্ধে অসত্য, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে আসছে। এই প্রেক্ষিতে দূতাবাস জানাচ্ছে যে, বাংলাদেশ দূতাবাস তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট কখনো জব্দ করে নি। দূতাবাস হতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখিতভাবে দূতাবাসকে এ মর্মে অবহিত করে যে, ২০১৭ সালের চেক জালিয়াতির একটি মামলায় জনাব মোহাম্মদ আলী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট কাতারি কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায় যে কাতারি আদালত থেকে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকার কারণে তাঁর পাসপোর্ট এবং তাঁর স্পন্সরশিপে থাকা অন্যান্যদের পাসপোর্ট কাতারি কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে দুতাবাস হতে জনাব মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী এবং সন্তানের পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হলে দূতাবাসকে জানানো হয় যে জনাব মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী এবং সন্তানের পাসপোর্ট চেক জালিয়াতি মামলা সমাধান হলে ফেরত প্রদান করা হবে।
অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সঠিক তথ্য যাচাই না করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি দূতাবাসের বিরুদ্ধে মনগড়া অসত্য তথ্য প্রচার করছে। এতে করে দূতাবাসের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং দূতাবাস সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে এ ধরণের অপ-প্রচার অত্যন্ত দুঃখজনক।
এই প্রসঙ্গে দূতাবাস সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য আরো জানাচ্ছে যে, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশীর আনীত ভিসা ব্যবসা, জালিয়াতি, অসৎ পন্থায় অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আরও উল্লেখ্য, মোহাম্মদ আলী তাঁর এমআরপি পাসপোর্ট বিষয়ে বাংলাদেশে একটি মামলা করেন যা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন বিধায় এ বিষয়ে দূতাবাস হতে কোন মন্তব্য করা হচ্ছে না এবং সকলকে বিচারাধীন বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।## বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.