--- বিজ্ঞাপন ---

অস্ত্রবিরতিতে সমর্থন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের

ফিলিস্তিনে শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে

0

কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা নিউজ এজেন্সির দেয়া তথ্যমতে, আজ ১৮ই মে সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সদর দপ্তর হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখে অস্ত্রবিরতিতে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘাত বন্ধে মিসরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশের সাথে কাজ করে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।

মুলত সারা বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ব্যাপক প্রতিবাদ এবং মার্কিন মুলুকেই গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলার বিরুদ্ধে খোদ ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন। যদিও জাতিসংঘ চীন কতৃক আনীত ফিলিস্তিন-ইসরাইল চলমান সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান সংবলিত প্রস্তাব আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

আসলে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল বাধা এবং আপত্তির মুখে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হামাস এবং ইসরায়েলের সাথে চলমান ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলের বিমান হামলার বন্ধ করা সংক্রান্ত বিলিটি যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে ভেস্তে চলে যায়। আর এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ উস্কানি এবং পূর্ণ সমর্থনের সুযোগ নিয়ে ইসরাইল ব্যাপক মাত্রায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং হামাস এবং ইসরায়েলের হামলা ও পাল্টা হামলা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালেও এখন পর্যন্ত তা বন্ধের স্পষ্ট কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলে রকেট হামলার বিপরীতে ইসরায়েলের নিজস্ব আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি জড়ালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যদিও আত্মরক্ষার নামে ইসরায়েলের ব্যাপক সহিসংতার এবং আগ্রাসী কার্যকলাপের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অন্ধ সমর্থনে তার নিজ ডেমোক্র্যাটিক দলের ভিতর চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সামরিক সংঘর্ষ এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখনো পর্যন্ত ২২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৫৮ জন শিশুও রয়েছে। আসলে ২০১৪ সালের পর বর্তমান হামাস ইসরায়েল সংঘর্ষ হতে যাচ্ছে সবচেয়ে প্রাণঘাতী এবং ভয়াবহ মাত্রায় বিপদজনক। এদিকে ইসরাইলে বিভিন্ন শহরে হামাসের দুই হাজারের কাছাকাছি রকেট হামলায় এ পর্যন্ত আনুমানিক ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলী নিউজ এজেন্সিগুলো।

যদিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য মতে, সর্বশেষ ইসরায়েলের ৯ জন নাগরিক, ২ জন আরব-ইসরাইল নাগরিক, ১ জন ভারতীয় নারী, ১ জন ইসরাইলী সেনা মারা গেছে এবং আহত হয়েছে মোট ৫৭০ জন। এদিকে গাজায় মোট ২১২ জন এবং পশ্চিম তীরে মোট ১৭ জন ফিলিস্তিন নাগরিক মৃত্যুবরণ করেন এবং আহত হয় আরো প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। তাছাড়া প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিন নাগরিক নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।

এদিকে সপ্তাহ ব্যাপী যুদ্ধ চলমান অবস্থায় গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রাসী ইসরাইলের নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব। গতকাল রোববার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সউদ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

গত ১০ মে থেকে গাজা থেকে বেশকিছু রকেট হামলার অভিযোগ এনে ব্যাপক মাত্রায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইসরাইল। এদিকে হামাসের দেয়া ভাষ্যমতে, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে বেশকিছু ফিলিস্তিন পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং আল-আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিশোধ নিতে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.