--- বিজ্ঞাপন ---

পাইলটবিহীন নতুন প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান বানিয়েছে তুরস্ক

0

২০১৯ সালে মার্কিন লকহিড মার্টিনের এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটার প্রজেক্ট থেকে ছিটকে পড়ে নতুন উদ্যমে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত এডভান্স জেট ফাইটার নিয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা করে যাচ্ছে তুরস্কের ডিফেন্স এভিয়েশন জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবগুলো। তারা ইতোমধ্যেই পাইলট বিহীন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধবিমান ডিজাইন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান। আর এই সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির এবং ভিন্ন ধাচের স্বংয়ক্রিয় চালিত যুদ্ধবিমান আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই আকাশে পরীক্ষামুলক উড্ডয়নে প্রবলভাবে আশাবাদী।

তুরস্কের বর্তমান ক্ষমতাসীন পার্টি জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) পার্লামেন্টারি গ্রুপ বৈঠকে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন চালকবিহীন জেট ফাইটার (ইউএভি) উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তুরস্ক নতুন এক যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে এবং তাদের এই ভিন্ন মাত্রার যুদ্ধবিমান ভবিষ্যতে যুদ্ধক্ষেত্রের কলা কৌশল বদলে দিতে যাচ্ছে।

তুরস্কের ড্রোন (ইউএভি) এভিয়েশন সিস্টেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার মাকিনা বায়রাক্তার প্রধান সিলকুক জানান যে, ২০২৩ সালের মধ্যেই তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির চালকবিহীন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বৃহৎ আকারের যুদ্ধবিমানের প্রথম পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করা হবে এবং এটি তুরস্কের আকাশ সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে কার্যকর ভুমিকা পালন করবে।

তার ভাষ্যমতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটার প্রজেক্ট থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়াকে প্রাথমিকভাবে তুরস্কের বড় ধরণের ক্ষতি হিসেবে দেখা হলেও শেষ পর্যন্ত তা কিন্তু তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য আর্শীবাদ হয়ে দেখা দিতে পারে।

তুরস্ক শুধুমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের ব্যবহারের জন্যই এটি তৈরি করতে যাচ্ছে না বরং বন্ধুভাবাপন্ন সকল দেশের কাছে রপ্তানির মহা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি।#সূত্রঃ ডেইলি সাবাহ

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.