--- বিজ্ঞাপন ---

সুইস ব্যাংকে কালো টাকা, বাংলাদেশের কমেছে, বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের

0

সুইস ব্যাংকে কালো টাকা, বাংলাদেশের কমেছে, বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। ২০১৮, ২০১৯ পর পর দু’বছর সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমছিল। কিন্তু ২০২০-তে তা এক লাফে আগের বছরের তুলনায় ২৮৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০১৮ সাল শেষে এই অর্থের পরিমাণ কমে হয় ৬২ কোটি সুইস ফ্রাঁ। ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ৬০ কোটি ৩০ লাখে। ২০২০ সাল শেষে হলো ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ। পাকিস্তানের আমানতও বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ, হয়েছে ৬৪ কোটি সুইস ফ্রাঁ।

সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তথ্য জানিয়েছে, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ২০২০-তে ২০,৭০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। গত ১৩ বছরে যা সর্বোচ্চ। বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা দেশে ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা মোদী সরকার এ নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চাপের মুখে আজ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, সুইৎজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে বিশদ তথ্য চাওয়া হয়েছে।২০১৮, ২০১৯— পর পর দু’বছর সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমছিল। কিন্তু ২০২০-তে তা এক লাফে আগের বছরের তুলনায় ২৮৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের যুক্তি, গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বাড়লেও কালো টাকা জমার পরিমাণ বাড়ার কোনও যুক্তি নেই। কারণ ভারত-সুইৎজারল্যান্ডের মধ্যে কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে। প্রতি বছর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদানেরও চুক্তি হয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০, দুই বছরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান হয়েছে। এই আইনি চুক্তি কর ফাঁকির কালো টাকা সুইস ব্যাঙ্কে জমা রাখার সম্ভাবনা অনেকখানিই কমিয়ে দেয়। ফলে গচ্ছিত অর্থ বাড়লেও কালো টাকা জমার সম্ভাবনা নেই।

অর্থ মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, ব্যবসায়িক কারণে ভারতীয় সংস্থাগুলির সুইৎজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কে জমা অর্থের পরিমাণ বাড়তে পারে। সুইস ব্যাঙ্কগুলির ভারতীয় শাখাতেও জমানো অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি হতে পারে। ভারতীয় ও সুইস ব্যাঙ্কের মধ্যে লেনদেন বৃদ্ধির মতো নানা কারণও থাকতে পারে। আসল কারণ জানতেই সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে বিশদ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গত এক বছরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ২০২০ সাল শেষে দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ আগের বছরের ৬০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ থেকে কমে ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা (১ সুইস ফ্রাঁ =৯২.২৮ টাকা)। এই নিয়ে পরপর তিন বছর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ কমল।সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) গতকাল বৃহস্পতিবার ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০২০’ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমার এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে পাচার সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি আমানত হিসাবে কার কত অর্থ আছে, তা-ও জানা যায়নি।

২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০১৮ সাল শেষে এই অর্থের পরিমাণ কমে হয় ৬২ কোটি সুইস ফ্রাঁ। ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ৬০ কোটি ৩০ লাখে। ২০২০ সাল শেষে হলো ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ। তবে ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের মানুষের কমলেও সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। ২০২০ সাল শেষে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ ২৬০ কোটি সুইস ফ্রাঁ, যা ২০১৯ সালে ছিল ৮৯ কোটি ৯০ লাখ। পাকিস্তানের আমানতও বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ, হয়েছে ৬৪ কোটি সুইস ফ্রাঁ।

সুইজারল্যান্ডের ২৪৩টি ব্যাংকের যে হিসাব দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিয়েছে, তাতে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জমা অর্থের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৩৭৭ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ।# আনন্দবাজার/প্রথম আলো

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.