দখলদার ইসরাইলের গণমাধ্যমের ধারণা লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহর কাছে বর্তমানে দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫ থেকে ৭০০ কিলোমিটার। যুদ্ধ শুরু হলে হিজবুল্লাহ প্রতিদিন ইসরাইলে এক হাজার থেকে তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলের বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম ‘ওয়ালা’ এ খবর প্রকাশ করেছে। এতে বলা আরও হয়েছে, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর গত ১৫ বছরে হিজবুল্লাহ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ অনেক বাড়িয়েছে। তাদের অস্ত্রাগারে ২০০ কিলোমিটার পাল্লার গাইডেড মিসাইল রয়েছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলোর পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।
এদিকে, ইসরাইলের ইংরেজি দৈনিক হারেৎজ লিখেছে, হিজবুল্লাহর নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ প্রকল্পে হামলার ইসরাইলি চেষ্টা সত্ত্বেও সংগঠনটি এ ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। তারা নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে এতটাই এগিয়েছে যে, ইসরাইলের নিরাপত্তা বিভাগগুলো এখন তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে। এছাড়া, ইসরাইলের সামরিক বিশ্লেষক এলওয়ান বেন ডাফিন বলেছেন, হিজবুল্লাহর কাছে শত শত নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের শেষ দিকে হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, তাদের নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে এবং ইসরাইলের যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে পারবে তারা।
উল্লেখ্য, হেজবুল্লাহ আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর দল, লেবাননের একটি শিয়া জঙ্গী গ্রুপ। হেজবুল্লাহর জন্ম ১৯৮২ সালের লেবাননে ইস্রাইলী হামলা থেকে। গ্রুপ টি ইরান ও সিরিয়ার কাছ থেকে আর্থিক ও সামরিক সহয়তা লাভ করে। Iranian Revolutionary Guards তাদের প্রশিক্ষন দিয়েছে। হিজবুল্লাহর মুলনীতি হল, তাদের দেশে ইস্রাইলী আগ্রাসন প্রতিরোধ করা।# পার্স টুডে