--- বিজ্ঞাপন ---

তুরস্কের সুইসাইডাল ড্রোন কামিকাজি

0

তুরস্কের সুইসাইডাল ড্রোন কামিকাজি নিয়ে হচ্ছে বিশ্ব অস্ত্র বাজারে আলোচনা। গুঞ্জন রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে অজানা কোন এক দেশের কাছে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি অটোনোমাস রোটারী ইউংস এ্যাটাক (কামিকাজি) বা সুসাইডাল ড্রোন রপ্তানির চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই উচ্চ প্রযুক্তির অটোনোমাস রোটারী ইউংস এ্যাটাক (কামিকাজি) ড্রোনের নাম কারগু এবং এটি ডিজাইন ও তৈরি করে তুরস্কের ডিফেন্স সিস্টেম ম্যানিফ্যাকচারিং কোম্পানি এসটিএম। আর এবার প্রথম বারের মতো কারগু এ্যাটাক (কামিকাজি) ড্রোন অন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করতে যাচ্ছে তুরস্ক। যদিও তুর্কী সেনাবাহিনী আগে থেকেই তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি পোর্টেবল এই কামিকাজি সুসাইডাল কমব্যাট ড্রোন বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করে আসছে।

তুরস্কের এসটিএম কোম্পানির তৈরি কারগু (কামিকাজি) এ্যাটাক ড্রোনটিকে শত্রু পক্ষের মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে একেবারে নিখুঁতভাবে টার্গেটকে ধ্বংস করার বিশেষ উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। এর কমিউনিকেশন রেঞ্জ ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি একাধারে আকাশে ৩০ মিনিট পর্যন্ত উড্ডয়ন করে শত্রুর লক্ষবস্তুতে নিজে নিজেই আত্মঘাতী হয়ে হামলা করে টার্গেটকে ধ্বংস করে দেয়।

পোর্টেবল এই কারগু সুসাইডাল বা কামিকাজি ড্রোন আকারে অত্যন্ত ছোট হওয়ায় ও এর রাডার ক্রস সেকশন (আরসিএস) খুবই কম হওয়ায় এটিকে রাডারে সনাক্ত করাটা খুবই কঠিন একটি কাজ হয়ে যায়। তাছাড়া এটি কিন্তু মাত্র ১ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত পে-লোড (ওয়ারহেড) বহন করলেও এটি শত্রু শিবিরে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ঠ হয়ে যায়। একটি এডভান্স ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চালিত কারগু সুসাইডাল এ্যাটাক ড্রোন খুবই কম শব্দ উৎপন্ন করে এবং এটি ভার্টিক্যাল টেকঅফ এণ্ড ল্যাণ্ডিং টেকনোলজি সম্পন্ন হওয়ায় এটি উড্ডয়নে কোন রানওয়ের প্রয়োজন নেই।

কারগু ড্রোন (ইউএভি) দিনে রাতে যে কোন প্রতিকূল আবহাওয়ায় মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম। তাছাড়া এই ড্রোনে উচ্চ প্রযুক্তির হাই পারফমেন্স, অটোনোমাস নেভিগিয়েশন এণ্ড ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম এবং অটোমেটিক টার্গেট রিকোগনাইজেশন সিস্টেম ইনস্টল করায় এটি তার নির্ধারিত লক্ষবস্তুতে একেবারে নিখুঁতভাবে হামলা করতে সক্ষম। এটিতে অপটিক্যাল এণ্ড ফিজিক্যাল টার্গেট ট্রাকিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। আবার কোন কারণে মিশন বাতিল হলে এটিকে পুনরায় তার নির্ধারিত বেসে বা কমাণ্ড সেন্টারে ফিরিয়ে আনা যাবে এবং এটিকে কমাণ্ড সেন্টার থেকে একজন দক্ষ অপারেটর পরিচালনা করে থাকে।

আসলে অতি সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক কমব্যাট এণ্ড নন-কমব্যাট ড্রোন প্রযুক্তিতে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। বিশেষ করে দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি বায়রাকতার টিবি-২ কমব্যাট ড্রোন বেশকিছু যুদ্ধক্ষেত্রে সফল ব্যবহারে আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা এখন আকাশ্চুম্বী। তাছাড়া দেশটি তার নতুন প্রজন্মের বায়রাকতার আকেনসি এবং তুর্কী এ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি বড় আকারের আকসুঙ্গুর হেভী কমব্যাট ড্রোন আগামী ২০২২-২৩ সালের মধ্যে সার্ভিসে আনতে যাচ্ছে। যা নিশ্চিতভাবে ডিফেন্স প্রযুক্তিতে দেশটিকে এক উচ্চস্থানে নিয়ে যাবে। তাছাড়া তুরস্ক এখন শুধুমাত্র কমব্যাট এণ্ড নন-কমব্যাট ড্রোন আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে প্রতি বছর কমপক্ষে ১.০০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ আয় করে যাচ্ছে। যা আগামী ২০২৫ সালে ৩.০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশাবাদী তুরস্ক।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.