--- বিজ্ঞাপন ---

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সাবমেরিন ব্যবহার করে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া

0

বর্তমানে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং মান যাই হোন না কেন কাগজে কলমে সারা বিশ্বে সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সাবমেরিন ব্যবহার করে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। আসলে উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীতে বর্তমানে মোট ৭২টি বিভিন্ন সিরিজের অতি পুরনো সাবমেরিন অপারেশনাল রয়েছে। অধিকাংশ সাবমেরিনের প্রযুক্তি পঞ্চাশ কিংবা ষাট ও সত্তর দশকের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনী এখনো পর্যন্ত অতি পুরনো সাবমেরিনের বিশাল বহর সার্ভিসে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে এখনে প্রকাশ থাকে যে, ১৯৯৮ সালের ২২ জুন উত্তর কোরিয়ার একটি ১০০ টন ওজনের ইউগো ক্লাস (Yugo class submarine) মিনি সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় গোপন মিশন বা নজরদারী চালানো অবস্থায় ডুবে যায়। মুলত দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের কাছে দূর্ঘটনাবশত ট্রলারে থাকা জেলেদের মাছ ধরার জালে আটকিয়ে যায় সাবমেরিনটি। অনেক চেষ্টা করেও উত্তর কোরিয়ার নাবিক সাবমেরিনটিকে জাল থেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়। সাবমেরিনে এক সময় অক্সিজেনের অভাবে অত্যন্ত দূঃখজনকভাবে ৯ জন নাবিকের সবাই মৃত্যুবরণ করেন। তবে তাদের মধ্যে চারজন নাবিক দক্ষিণ কোরিয়ার হাতে ধরা পড়ার ভয়ে সাবমেরিনেই সাইনাইড ক্যাপসুল খেয়ে নিজেরাই আত্মহত্যা করে বসে। এদিকে ২৫শে জুন দক্ষিণ কোরিয়ার নেভী অনেক চেষ্টার পর সাবমেরিনটিকে সাগরের ১০০ ফুট গভীর থেকে উদ্ধার করলেও সেখানে কাউকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায় নি। এই ধরণের মিনি সাবমেরিন উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীতে ১৯৬০ সালে প্রথম সার্ভিসে আসে এবং সর্বশেষ ইউগো ক্লাস (Yugo class submarine) সাবমেরিনটি ১৯৮০ সালে উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীতে কমিশনিং লাভ করে। এ পর্যন্ত মোট ৮টি এই জাতিয় মিনি সাবমেরিন তৈরি করে উত্তর কোরিয়া। যার মধ্যে এখনো ৪টি সার্ভিসে রয়েছে, ৩টি সাগরে ডুবে গেছে এবং ১টি দক্ষিণ কোরিয়া ধরে নিয়ে গেছে। পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় ৯০ থেকে ১১০ টন ওজনের এই জাতীয় মিনি সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য ২০ মিটার এবং বিম ২ মিটার। এটি একটি সিঙ্গেল শিফট এমটিইউ ডিজেল ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয় এবং এর গতি সারফেসে ১০ নটিক্যাল মাইল এবং সাবমার্জড অবস্থায় ৪ নটিক্যাল মাইল। এই সাবমেরিনে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৯ জন পর্যন্ত নাবিক থাকতে পারে। অস্ত্র হিসেবে এটিতে ২টি ৫৩০ এমএম টর্পেডো বহণ করতে পারে। তাছাড়া ভিয়েতনাম ১৯৯৭ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে ২০ হাজার টন চালের বিনিময়ে বেশ কিছু সংখ্যক ইউগো ক্লাস (Yugo class submarine) ক্রয়ের চুক্তি করেছিল। তবে এক বিংশ শতাব্দীতে এসেও উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি তাদের থেকে প্রযুক্তি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান এ পর্যন্ত মোট ২৪টি গাধির ক্লাস মিনি সাবমেরিন তৈরি করেছে। যার প্রযুক্তির মূল উৎস হচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আসলে ইরানে নিউক্লিয়ার এবং মিসাইল প্রযুক্তি সরবরাহকারী দেশ উত্তর কোরিয়ার ইউগো ক্লাস (Yugo class submarine) এর প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে ডিজাইন ও তৈরি করে হয়েছে ইরনারে গাঘির ক্লাস মিনি সাবমেরিন।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.