--- বিজ্ঞাপন ---

ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দিবস এর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

0

বাংলাদেশ দূতাবাস, আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত একমাত্র প্রতিরক্ষা শাখা কর্তৃক আনন্দমুখর পরিবেশে, জাঁকজমকপূর্ণভাবে এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ ২১ নভেম্বর ২০২১ তারিখে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়। অত্র দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আমন্ত্রিত স্থানীয় অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির উদযাপন শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে বাণী পাঠ করা হয় এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারবর্গ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহিদদের রূহের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও দেশবাসীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করার পর আজকের মহতী দিবস উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও সসস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং তিন বাহিনী প্রধান এর পৃথক পৃথক অভিনন্দন বার্তা পাঠ করা হয়।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসে অভ্যাগত অতিথিদের উপস্থিতিতে অত্র দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহাম্মদ সুমন রেজা, এনডিসি, পিএসসি দিবসটির বিস্তারিত তাৎপর্য তুলে ধরে তার স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জল ইতিহাস, অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি এবং সাফল্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক নির্মিত এবং সদর দপ্তর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, ইএএলবি (বাংলাদেশ মিশন উইং) কর্তৃক প্রেরিত প্রামান্য চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে ইথিওপিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন যে বাংলাদশেরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ২১শে নভেম্বর একটি স্মরণীয় এবং গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তিন বাহিনি সম্মিলিতভাবে পাকস্তিানি হানাদার বাহিনীর উপর সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে। সমন্বিত এই আক্রমণে একতাবদ্ধ হয় মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা। পরাজিত হয় পাক হানাদার বাহিনী। মাতৃভূমির সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে তিনি আলোকপাত করেন। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব ও দক্ষতা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে বিশ্বদরবারে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রশংসা অর্জন করার জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে একটি বিশেষ কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয় এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভ্যাগত অতিথিগণ এর জন্য একটি মধ্যহৃভোজের আয়োজন করা হয়।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.