চট্টগ্রামে বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২৪৯১ কোটি টাকা অনুমোদনের প্রাণশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর প্রতি এ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক এই প্রশাসক।
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সুজন বলেন বছরের শুরুতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২৪৯১ কোটি টাকা অনুমোদন প্রদান করেছেন যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য নতুন বছরের উপহার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অবকাঠামোগতভাবে চট্টগ্রাম শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে। নগরীর বিভিন্ন অলিগলি এবং মূল সড়কের উন্নয়নের ফলে নগরীর যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। নগরবাসীর জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ প্রকল্প অনুমোদনে প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়। যিনি অত্যন্ত দক্ষতা এবং বিচক্ষণতার সাথে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সুচারুভাবে পরিচালনা করছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর সাথে রয়েছে মন্ত্রী মহোদয়ের নাড়ির সম্পর্ক। চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন কুমিল্লা-৯ আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হলেও দীর্ঘসময় ধরে চট্টগ্রাম শহরে বসবাসের ফলে এই শহরের অলিগলিসহ সার্বিক অবকাঠামো বিষয়ে অবগত রয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। চট্টগ্রামবাসী মনে করে ২৪৯১ কোটি টাকার বিশাল বাজেট অনুমোদন তারই প্রতিফলন। সুজন আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রকল্পটি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামবাসী এর পুরোপুরি ফল ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মেগা প্রকল্পগুলির অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের কারণেই চট্টগ্রাম শহরটি দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই চট্টগ্রাম শহরকে আগামী দিনের উন্নত সমৃদ্ধশালী নগরীতে রূপান্তরিত করতে আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন সুজন। তিনি বলেন চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত পাহাড়, নদী এবং সমুদ্রে ঘেরা চট্টগ্রাম শহরটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে বিখ্যাত। ঢাকার পরে দেশের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে এই চট্টগ্রাম। এখানে দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর ছাড়াও নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশের আমদানি-রফতানি এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বন্দর নগরী হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম শহরটি একটি ব্যস্ততম নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ট্রাক, ট্রেইলর, কাভারভ্যানসহ বিভিন্ন গাড়ী নগরীতে প্রবেশ করে এবং বাহির হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে চট্টগ্রাম শহরে একটি বাস কিংবা ট্রাক টার্মিনাল নেই। ফলত শহরে প্রবেশ করা ট্রাক, ট্রেইলর, কাভারভ্যানগুলো বিভিন্ন সড়কে এলোমেলোভাবে পার্কিং করা থাকে। যে কারণে যানজটে পড়ে হিমশিম খেতে হয় নগরবাসীকে। নগরীর ট্রাফিক শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ে জনসাধারণের অমূল্য শ্রমঘন্টার অপচয় হচ্ছে প্রতিদিন। ফলে বৃহৎ প্রকল্প অনুমোদন করে সড়ক প্রশস্তকরণ কিংবা সংস্কারের সুফলও ভোগ করতে পারছে না নগরবাসী। তাই নগরীতে আলাদা বাস এবং ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুজন। এছাড়া চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে যদি যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে চট্টগ্রাম শহরটিই সরকারের রাজস্ব আদায়ের প্রধানতম শহরে পরিণত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে যদি যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে আরেকটু পরিকল্পনা মাফিক সাজানো যায় তাহলে এই চট্টগ্রাম শহরটিই অনন্য সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে পরিণত হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। চট্টগ্রামকে আগামী দিনের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা কামনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।##