--- বিজ্ঞাপন ---

মহাকাশ স্টেশন ঘন্টায় ২৭,৫৭৬ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে

0

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সেই ১৯৯৮ সাল থেকে আজ আব্ধি ভরশূন্য অবস্থায় প্রতি ঘন্টায় ২৭,৫৭৬ কিলোমিটার গতিতে দিন-রাত প্রায় দেড় ঘণ্টা অন্তর এক বার করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এটি পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০৮ কিলোমিটার উচ্চতায় লো আর্থ অরবিটে স্থাপন করা হয়। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, রাশিয়ার রসকোমোস, কানাডার সিএসএ, জাপানের যে এএক্সএ এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গবেষণা ও পরিচালনা করে আসছে।

ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে সর্ব প্রথম দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়ার বাইকুনুর কসমোড্রোম ল্যাণ্ড স্টেশন থেকে সয়ুজ হেভি রকেটে করে নভোচারী পাঠানো হয় ৩১শে ডিসেম্বর ২০০০ সালে। তবে এর সার্ভিস লাইফটাইম শেষে পরিকল্পনা মাফিক এটিকে খুব সম্ভবত ২০৩১ সালে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে স্যাটালাইট গ্রেভইয়ার্ড এরিয়ায় ধ্বংস করে ফেলা হবে।

ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন প্রজেক্টের শুরুর ১৯৮৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট ১৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। সারা বিশ্বের মোট ১৫টি দেশ এর অংশীদার হিসেবে কাজ করে গেলেও সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে আমেরিকা। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি রাশিয়া, কানাডা, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মান, ড্রেনমার্ক, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নরওয়ে, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, সুইটজারল্যাণ্ড এবং সুইডেন এই ব্যয়বহুল মহাকাশ স্টেশন প্রজেক্টের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।

তবে চীন বার বার এই গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ স্টেশন প্রজেক্টে অংশীদার হতে চাইলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার মুখে তা আর হতে পারেনি। তবে চীন কিন্তু ঠিকই একাই তার নিজস্ব প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে “তিয়ানগং” মহাকাশ স্টেশন এণ্ড রিসার্চ সেন্টার গড়ে তুলে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। চীন কার্যত গত ২০২১ সালের ২৯শে এপ্রিল ১০০ টন ওজনের তিয়ানগং স্পেস স্টেশন ৩৪০ কিলোমিটার উচ্চতায় লো আর্থ অরবিটে স্থাপন করে।
মানুষের আকাশ জয়ের প্রথম যাত্রা শুরু হয় ১৯০৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। মুলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট (Wilbur and Orville Wright Brothers) ভ্রাতৃদয়ের তৈরি করা একেবারে সাধারণ উড়োজাহাজ বা বিমান নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের আকাশে মাত্র ১২ সেকেন্ড স্থায়ী উড্ডয়ন করে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। আর তার ঠিক ৩৬ বছর পর ১৯৩৯ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর পৃথিবীর আকাশে প্রথম ডানা মেলে একটি অতি সাধারণ ভিএস-৩০০ মডেলের হেলিকপ্টার। রুশ বংশোদ্ভূত মার্কিন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা উড়োজাহাজ প্রকৌশলী ইগর ইভানোভিচ সিকোরস্কির তৈরি করা ৪ সিলিণ্ডারের ৭৫ হর্স পাওয়ার ইঞ্জিনের প্রথম কোন সফল হেলিকপ্টার ছিল এটি। যার মূল ডিজাইন এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে পরবর্তীতে আরো উন্নত এবং আধুনিক বানিজ্যিক ও সামরিক পরিবহণ হেলিকপ্টার তৈরি করা সম্ভব হয়। এই রুশ বংশোদ্ভুত মার্কিন এভিয়েশন বিজ্ঞানী ইগর ইভানোভিচ সিকোরস্কি ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.