--- বিজ্ঞাপন ---

কিম এর দেশে নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া শক্তিশালী আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা সতর্কতা জারি করে বলেন, উত্তর কোরিয়া সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উইন্ডি শেরম্যান সতর্কতা জারি করে বলেন, এমনটা ঘটলে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন শোয়ে সন-হুই নামের এক নারী।

কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো ফোরামের বৈঠকে চোয়েকে দেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন কিম।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষিত শোয়ে সুন-হুই কোরিয়ান ভাষার পাশপাশি ইংরেজিতেও দক্ষ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুতে বৈঠকে করতে কিম জং উনের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে গিয়েছিল, সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন শোয়ে। কোনো সিদ্ধান্ত এবং চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছিল সেই বৈঠক, এবং এজন্য সেসময় যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছিল উত্তর কোরিয়া।

বৈঠক পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এজন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে শোয়ে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের প্রস্তাব বাতিল করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র একটি সোনালী সুযোগ হাতছাড়া করল।’ সম্প্রতি পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ স্থবির পর্যায়ে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে কয়েকবার কিমের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছে, তবে সেসব আহ্বানে সাড়া দেননি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা

২০২২ সালের শুরু থেকে মে মাস পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে খুব সম্ভবত ১৮ বারে মোট ৩১টি বা এর কাছাকাছি বিভিন্ন পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে। যা কিনা দরিদ্র এই দেশটির জন্য বড় ধরণের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য যথেষ্ট অপব্যয় বলে মনে করা হয়।

ইউকীপিডিয়ার দেয়া তথ্যমতে, মাত্র ৪০ বিলিয়ন ডলারের নমিনাল জিডিপির অধিকারী উত্তর কোরিয়ার বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ কিন্তু ২.০০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। আসলে বিশ্ব থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখা উত্তর কোরিয়ার প্রকৃত অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও অবস্থা সম্পর্কে এক অনুমান করা ছাড়া জানার আর কোন উপায় নেই।

বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ আনুমানিক ৪-৫.০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে বলে অনুমান করা হলেও বাস্তবের সাথে তা মিল নাও হতে পারে। যেখানে কিনা দক্ষিণ কোরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবিশ্বাস্যভাবে ৪৬৯.২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তবে উত্তর কোরিয়া কিন্তু তার নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি ব্যালেস্টিক মিসাইল রপ্তানি করে থাকে এক ইরান এবং দ্বিতীয় দেশটি হচ্ছে মিয়ানমার। বিশেষ করে ইরানের অধিকাংশ মিসাইলের দৃশ্যমানগত ডিজাইন এবং প্রযুক্তি সহায়তা আসে সেই আবার উত্তর কোরিয়া থেকে।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.