--- বিজ্ঞাপন ---

প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে টেকসই রাস্তা তৈরি

0

এক বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই ফেলে দেয়া প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান এবং ভারতের মতো দেশগুলো টেকসই রাস্তা তৈরির প্রযুক্তি অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বিটুমিনের সাথে প্লাস্টিক এবং পলিথিন জাতীয় বর্জ্যের উপাদান মিশিয়ে রাস্তা তৈরির নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্যবহারের দিক দিয়ে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত।

মুলত ভারতে ২০০১ সালে পরীক্ষামুলক ভাবে বিটুমিনের সাথে প্লাস্টিক বর্জ্য মিশিয়ে রাস্তা তৈরির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হলেও দেশটির সড়ক বিভাগ এবং গবেষণা সংস্থাগুলো বিগত দুই দশকে এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করে গেছে। বর্তমানে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে স্বল্প ব্যয়ে একেবারে পরিবেশ বান্ধব রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে ভারত।

সূত্র জানায়, তাদের নতুন উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিকে প্রত্যক্ষভাবে ব্যবহার করে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ কিলমিটার রাস্তা তৈরি শেষ করেছে ভারতের সড়ক বিভাগ। এদিকে প্রায় ৩০ হাজার কেজি পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে আধুনিক এবং টেকসই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরে। বেঙ্গালুর শহরের আরএমজেড ইকোওয়ার্ল্ড এবং আউটার রিং রোডকে সংযুক্ত করতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এবং টেকসই রাস্তা তৈরি শেষ করেছে গত জুন মাসেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দেশের সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগ অন্য দেশ থেকে প্রযুক্তি ধার করে এনে হলেও বিটুমিনের সাথে ফেলে দেয়া প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে টেকসই রাস্তা তৈরির কার্যক্রম শুরু করা উচিত। সাধারণত দেখা যায় যে, আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে পাঁকা রাস্তা তৈরি করার পর তা দুই বা তিন বছরের মধ্যেই একেবারে নষ্ট কিংবা যান চলাচলের জন্য অনেকটা অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশের সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্থ একই রাস্তা টেন্ডারের মাধ্যমে দুই বা তিন বছরের মধ্যেই বার বার মেরামত কিংবা নতুন করে তৈরি করতে দেখা যায়। এতে করে দেশের মূল্যবান সম্পদ এবং অর্থের ব্যাপক অপচয় হয়ে থাকে। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে নতুন রাস্তা তৈরি এবং মেরামতের ক্ষেত্রে কম খরচে নতুন প্রযুক্তির প্লাস্টিকের বর্জ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় কিনা তা গুরুত্বের সাথে সরকার এবং সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগ বিবেচনা করতে পারে। #

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.