--- বিজ্ঞাপন ---

ঘূর্ণিঝড় সিত্রং আতঙ্কে পশ্চিমবঙ্গ, মোকাবেলায় জোর প্রস্ততি

0

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। আতঙ্কের প্রহর গুনছে বাংলা। ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ। সাগরে তৈরি নিম্নচাপ থেকে শেষমেশ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে ‘সিত্রং।’ যাকে নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা।

কলকাতা আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবিবার শাক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিনত হবে। সোমবারের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতে পারে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।  ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায়। এসব এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যেই শনিবার আবহাওয়া অফিস থেকে, সোম ও মঙ্গলবার দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুরের মতো সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই দু’দিন সুন্দরবন এলাকায় ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সাগর থেকে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।

রবিবার থেকে আপাতত সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাংলাদেশ উপকূলের তিনকোনা ও সানদ্বীপের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে । ঘূর্ণিঘঝড়ের প্ণ্টারভাবে ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি।ড়বে। ওই দিন হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিমি। শহরের ৭৯টি পাম্পিং স্টেশনে ৪৩০টি পাম্প রয়েছে। সেগুলি যাতে ঠিক ভাবে কাজ করে, পাম্পিং স্টেশনের কর্তব্যরত আধিকারিকদের সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

বৃহস্পতিবার পুর কমিশনার বিনোদ কুমার বলেছেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলাতে যাবতীয় প্রস্তুতি থাকছে। একাধিক দফতরকে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে।’’ কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ বলেছেন, ‘‘জমা জল বার করতে পুরসভার কেন্দ্রীয় দল ছাড়াও বরোভিত্তিক গাড়ি ও কর্মীরা কাজ করবেন।’’। জরুরি সব দফতরের ছুটি বাতিল করেছে পুরসভা। পুরসভার কন্ট্রোল রুম থেকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হবে।কাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিভিন্ন দফতরকে জরুরি প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির বিডিও বা সম পদমর্যাদার আধিকারিককে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ম সতর্কতা হিসাবে উপকূলবর্তী জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিকে আশ্রয় শিবির হিসাবে প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

অন্য দিকে, দুর্গাপুজোর সময়ও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের দরুন বৃষ্টি হয়েছিল। যদিও তার ব্যাপকতা না থাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির মধ্যেও ঠাকুরদেখার আনন্দ সেই অর্থে মাটি হয়নি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালালে আলোর উৎসব কতটা আলোকিত থাকবে, সেই সংশয়ই এখন দানা বেঁধেছে।#সূত্র: আনন্দবাজার

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.