--- বিজ্ঞাপন ---

ভারতের অগ্নি প্রাইম ব্যালেস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন

0

সিরাজুর রহমান#

অগ্নি -পি (প্রাইম) ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা সফল সম্পন্ন করেছে ভারত। ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) গত ২১শে অক্টোবর শুক্রবার ভারতের ওড়িশার উপকূলে ‘অগ্নি-পি (প্রাইম) ব্যালেস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করে।  এটি মুলত ওড়িশার কালাম আইল্যান্ড এর ইন্টিগ্রেট মিসাইল টেস্ট রেঞ্জ সেন্টার থেকে পরীক্ষা করা হয়। ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি অগ্নি সিরিজের অগ্নি-পি (প্রাইম) হচ্ছে নতুন প্রজন্মের নিউক্লিয়ার ওভারহেড ক্যাপবল ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল। এর পরীক্ষিত রেঞ্জ হচ্ছে ১,০০০ থেকে ২,০০০ কিলোমিটার।

মুলত নতুন প্রজন্মের এই অগ্নি প্রাইম সিরিজের ব্যালেস্টিক মিসাইলটি ডিজাইন করে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। তবে নতুন প্রজন্মের এই মিসাইলটি ম্যানুফ্যাকচারিং করে ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড। এটি কিন্তু ২ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে পাকিস্তানের সম্পূর্ণ অংশ এবং চীনের মূল ভূখন্ডের আংশিক অঞ্চলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।

এই মিসাইলের পরীক্ষিত সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১-২ হাজার কিলোমিটার এবং এর সর্বোচ্চ গতি দ্বিতীয় স্টেজে প্রায় ম্যাক ৭ এর কাছাকাছি। ২০২১ সালের ২৮শে জুন এবং ১৮ই ডিসেম্বর এর চূড়ান্ত সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। আর এবার সর্বশেষ চলতি ২০২২ সালের ২১শে অক্টোবর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হলো। এটি খুব সম্ভবত একটি ৩ টন বা দুটি ১.৫ টন ওজনের (এমআইআরভি) কনভেনশনাল ওয়ারহেডের পাশাপাশি থার্মোবরিক এবং নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহণ করতে সক্ষম।

অগ্নি-৩ সিরিজের মিসাইলের তুলনায় নতুন প্রজন্মের অগ্নি-পি (প্রাইম) এর ওজন প্রায় ৫০ শতাংশ কম। কম্পোজিট ম্যাটারিয়ালের তৈরি এই ব্যালেস্টিক মিসাইল ওজনে অনেকটা হালকা হওয়ায় এটিকে রেল বা সড়ক পথে বিশেষ সামরিক যান থেকে এই মিসাইলটিকে খুব সহজেই যে কোন স্থানে মোতায়েন এবং খুব দ্রুত শত্রু পক্ষের টার্গেটে হামলা করা সম্ভব।

তাছাড়া অগ্নি সিরিজের অন্য দুই ভার্সন অগ্নি-১ এবং অগ্নি-২ ব্যালেস্টিক মিসাইলের তুলনায় আরো আধুনিক এবং উন্নত প্রযুক্তির রকেট মোটরইঞ্জিন ইনস্টল করা হয়েছে অগ্নি-পি (প্রাইম) মিসাইলে। দুই স্তরের সলিড ফুয়েল প্রপেল্যান্ট বিশিষ্ট নতুন প্রজন্মের অগ্নি-প্রাইম সিরিজের ব্যালেস্টিক মিসাইলটির ওজন ১১ টন। এর দৈর্ঘ্য ১০.৫ মিটার এবং ডায়ামিটার হচ্ছে ১.১৫ মিটার।

এর গাইডেন্স সিস্টেম হিসেবে আধুনিক রিং-লেজার জাইরোস্কোপের ওপর ভিত্তি করে ইন্টারনাল নেভিগেশন সিস্টেমের পাশাপাশি মাইক্রো ইন্টারটেল নেভিগেশন এবং ডিজিটাল কন্ট্রোল সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। তাছাড়া এটিকে বিকল্প হিসেবে জিপিএস কিংবা নেভাল-সি স্যাটালাইট গাইডেন্স সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.