--- বিজ্ঞাপন ---

ইরানের কাছ থেকে রাশিয়া কমব্যাট ড্রোন নিয়েছে

0

মার্কিন নিউজ এজেন্সি এপি এর দেয়া তথ্যমতে, ইরান এই প্রথম বারের মতো রাশিয়াকে কমব্যাট ড্রোন সরবরাহের কথা স্বীকার করেছে। গত শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধ শুরুর আগেই মস্কোকে ইরানের নির্মিত ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছিল। তবে রাশিয়ার তরফে এখন পর্যন্ত কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানি ড্রোন ব্যবহারের কথা স্বীকার করা হয়নি।

আন্তর্জাতিক সামরিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রায় তিন হাজারের অধিক বিভিন্ন সিরিজের ক্ষুদ্র আকারের শাহেদ-১৩৬ কামিকাজে এবং কমব্যাট ড্রোন আমদানি করেছে ইরান থেকে। এখন এবার ইরান নাকি নতুন করে ১ হাজারের কাছাকাছি অতি ভয়ঙ্কর আরশ-২ কমব্যাট ড্রোন, ৩০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ফাতেহ-১১০ এবং ৭০০ কিলোমিটার রেঞ্জের জুলফিকার মিসাইল রাশিয়ার উদ্দেশ্যে শিপমেন্ট করেছে ইরান।

এখানে প্রকাশ থাকে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুদ্ধক্ষেত্রে বিশাল আকারের ভারি ডিফেন্স সিস্টেমের বিরুদ্ধে একেবারে ক্ষুদ্র আকারের কমব্যাট ড্রোন, ম্যানপ্যাড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, এন্টি-ট্যাংক মিসাইল, জ্যামার ইত্যাদি নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সাজ সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ পশ্চিমা বিশ্বের অতাধুনিক অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনে একেবারে স্বল্প মূল্যের ইরানের হালকা কামিকাজে সুসাইডাল ড্রোন ও মিসাইল চমকে যাওয়ার মতো সাফল্য অর্জন করেছে।

যদিও অন্যদিকে আবার ইউক্রেনের একাধিক রণাঙ্গনে তুরস্কের তৈরি একেবারে হালকা টিবি-২ কমব্যাট ড্রোন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ট্যাংক, আর্টিলারি সিস্টেম এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তাই বর্তমানে স্বল্প আয়ের একটি দেশ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে উচ্চ প্রযুক্তির ভারি অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান না কিনে পরিকল্পনা মাফিক বিশ্ব মানের কমব্যাট ও কামিকাজে ড্রোন, লাইট ট্যাংক, এমএলআরএস এন্ড শর্ট রেঞ্জের মিসাইল সিস্টেম সংগ্রহ করা খুবই কার্যকর একটি পদক্ষেপ হতে পারে।

তাই শুধুমাত্র সারা বিশ্বকে দেখানোর উদ্দেশ্যে বিশাল আকারের ভারি ভারি ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি কিংবা সংগ্রহ করার পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করাটা এখন এক রকম অপব্যয় করা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। আসলে এক বিংশ শতাব্দীর এই ২০২২ সালে এসে যুদ্ধ পরিচালনা, কৌশল এবং প্যাটান কিন্তু অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। যার সুস্পষ্ট প্রভাব ও ব্যাপক মাত্রায় কার্যকারিতা চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে ফুটে উঠেছে।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.