--- বিজ্ঞাপন ---

গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আগামীকালের জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে, বলছেন নেতারা 

0

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে জেগে উঠেছে পাড়া-মহল্লা। রাস্তায় রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীকে বরণের ব্যাপক প্রস্ততি চলছে। শুক্রবার থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠের আশে পাশের সবকিছুই এখন বন্ধ। মাঠ থেকে সব রকমের ব্যনার-ফেস্টুনগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নৌকার আদলে তৈরি করা বিশাল মঞ্চের কাজও শেষের পথে। নগর জুড়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল-সমাবেশও থেমে নেই। উপজেলাগুলো হতে নেতা-কর্মীরা আসবেন গাড়ী বহরে। ঘুম নেই নেতা-কর্মীদের। সকল বিভেদ ভুলে একাট্টা এখন নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। যেকোন মূল্যে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাটিকে ঐতিহাসিক করে রাখার জন্য বদ্ধ পরিকর নগর আওয়ামী লীগ। নেতারা যে যার অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন সমানতালে। জনসভা পরিনত হবে জনসমুদ্রে, এটাই এখন নেতাদের একমাত্র লক্ষ্যে। জনসভায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূণ্য বক্তব্য রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ জনসভাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন চট্টগ্রামের মানুষ। ধারনা করা হচ্ছে দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনসভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী কি ম্যাসেজ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেবেন এ নিয়ে এরই মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা। রবিবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের জনসভা। প্রায় ১০ বছর পর চট্টগ্রামের কোন জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম মহানগরীর সবচেয়ে বড় মাঠ বলে খ্যাত রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। এরই মধ্যে মাঠে তৈরি হয়েছে নৌকার আদলে মঞ্চ। মাঠ ঘিরে বেশ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) জনসভার সময় সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ঐ দিন মাঠ ঘিরে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে সিএমপি।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠে যারা আসবেন তাদের উপর কঠোর নজরদারিও রাখা হবে। শহর জুড়ে এরই মধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, জনসভাকে ঘিরে গড়ে তোলা হবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। পলোগ্রাউন্ড মাঠের ভেতরে ও বাইরে আমাদের সাড়ে সাত হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, “স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো আয়োজন তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ মতে, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন থাকবে। মোটকথা, পুরো শহর জুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চট্টগ্রামবাসীর মাঝে বিরাজ করছে উৎসব মূখর পরিবেশ। নগরী জুড়ে ছেয়ে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে। তবে মাঠের ভেতরে কোন নেতার নামে ব্যানরা, ফেস্টুন থাকছে না। ইতিমধ্যে লাগানো সবগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতার নামে প্রচার প্রচারনা চলছে। যে যেভাবে পারছেন জনসভাকে কেন্দ্র করে নিজেকে তুলে ধরছেন। দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য কেউ কেউ গাড়ী বহর নিয়ে র‌্যালির আয়োজন করেছেন। আবার কেউ কেউ করছেন গণমিছিল। প্রধানমন্ত্রী যাতে তাঁর সাথে আসা নেতাদের নিয়ে সহজে বসতে পারেন তার জন্য ১৬০ ফুট দীর্ঘ বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের সামনে ৪০-৮০ ফুটের মধ্যে বসবেন ২০০ জন অতিথি। আশে পাশে বসানো হচ্ছে সাতটি বড় পর্দা। যাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সহজে মানুষ শুনতে পারেন তার জন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঞ্চের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও নারীদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে সমাবেশ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রামের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিল সমাবেশের আয়োজন করে চলেছে। নগর আওয়ামী লীগের নেতারা যেকোন মূল্যে সমাবেশ সফল করতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ আ্ওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে লোকসমাগম করার পরিকল্পনা নিয়েছে। পলোগ্রাউন্ডে এসে সবাই জড়ো হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হবে উল্লেখ করে নগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজ হাতে তুলে নেয়ার যে প্রতিশ্রæতি দিয়ে গিয়েছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। তাই আজ আমাদের নেত্রীকে স্বাগত জানাতে চট্টগ্রামবাসী উম্মুখ হয়ে আছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। স্মরণকালের সর্ববৃহত জনসভা করতে আমরা প্রস্তত।
দ্বীপ উপজেলা স্বন্দীপ থেকে জাহাজে করে লোক আসবে উল্লেখ করে স্বন্দীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্বন্দীপ থেকে ১০ হাজারেরও বেশি লোক আসবে। আমি দুটো বড় জাহাজ দিয়েছি। এগুলো সদরঘাটে ভীড়বে। আরও ছোট ছোট ট্রলার ও স্পীড বোটও দেয়া হবে। স্বন্দীপের লোকজন যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারে তার জন্য শনিবার মধ্যরাতে সবাই রওয়ানা হবেন।
মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, মিরশরাই থেকে ২০ হাজার লোক পলোগ্রাউন্ডে যাবেন। ইতিমধ্যে শতাধিক বাস ভাড়া করা হয়েছে। সমাবেশে যোগদান করার সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে।
জনসভায় সরকারী সুবিধা ব্যবহার করবে না আওয়ামী লীগ
এদিকে জনসভায় আওয়ামী লীগ সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক। গতকাল শুক্রবার নগরের জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলোগ্রাউন্ডে জনসভা সফল করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনও জনসভা হয় না। এখানেও হচ্ছে না। জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আইন অনুযায়ী এসএসএফ নিয়োজিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় অনেক বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকে। কোনও এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এলে তিন-চার মাস আগে প্রস্ততি শুরু হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে ঘিরে তৈরি হয়েছে গানও
আগামী ৪ ডিসেম্বরের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে একটি গানও। এটি লিখেছেন হুমায়ুন চৌধুরী সরকার নামের এক শিল্পী। এরই মধ্যে গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে। এ গানে আওয়ামী লীগ সরকার আমলের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রায় ৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের গানটি গেয়েছেন শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, সামিনা চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট কামরুল আযম টিপু। গানটিতে কর্ণফুলী টানেল, পদ্মাসেতু, ফ্লাইওভারে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বাংলাদেশের পরিবর্তনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্বোধন করবেন ৩০টি প্রকল্পও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে শুধু জনসভা করবেন না উদ্বোধন করবেন ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পও। চারটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তরও স্থাপন করবেন তিনি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাধারণ শাখার দায়িত্বে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ৪ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন।
সড়কে যানবাহন চলাচলে থাকছে যেসব বিধিনিষেধ
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সিএমপি জানায়, প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়াও ঐদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আন্ত জেলা যাত্রীবাহী এসি ও নন-এসি বাস মহানগরে প্রবেশ করতে পারবেনা। সিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পংকজ দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদন জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য নির্দেশনা সকল প্রকার যানবাহনের চালক, যাত্রী সাধারণ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সকলকে যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নগরের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।
পুলিশ জানায়, নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে রেডিসন গোলচত্বর, ইস্পাহানী মোড়, টাইগারপাস হয়ে পলোগ্রাউন্ড সমাবেশস্থল এবং পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে টাইগারপাস, ইস্পাহানি মোড়, রেডিসন গোলচত্বর হয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কে রোববার সকাল আটটা থেকে সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সমাবেশে আগত ছোট-বড় গাড়ির পার্কিং স্থান নিধারণসহ সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে নগরের হাই লেভেল রোড, ওয়াসার মোড়, জমিয়াতুল ফালাহ্ পশ্চিম গেইট ইউর্টান, লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নামার মুখ, আলমাস মোড়, চানমারি রোড, ম্যাজিষ্ট্রেট কলোনী রোডের মুখ, সিটি করপোরেশনের অফিস গলির উভয় মুখ, দেওয়ানহাট ব্রীজের মুখ, টাইগারপাস মোড়, আমবাগান রেলক্রসিং, কাজীর দেউড়ী, নেভাল এভিনিউ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিষ্টিটিউট, রেলওয়ে অফিসার্স কলোনী মসজিদ, কুক আউট রেষ্টুরেন্ট , উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কাঠের বাংলো, ফ্রান্সিস রোড, আটমার্সিং, এনায়েত বাজার, পুরাতন রেল স্টেশন, কদমতলী মোড়, নিউমার্কেট মোড়, সিটি কলেজ মোড়, ব্রীজ ঘাট(অভয়মিত্র ঘাট), নতুন ব্রীজ (মেরিন ড্রাইভ রোডের মুখ), আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠার মূখ (বেবী সুপার মার্কেট), ষোলশহর ২নং গেইট পুলিশ বক্সের সামনে, ফ্লাইওভারে উঠার মুখ (এন মোহাম্মদ মুরাদপুর), পেনিনসুলা হোটেলের সামনে, শহীদ শাহজাহান মাঠের সামনে (আমবাগান রোড), পাঞ্জাবি লেইনের মুখ (জাকির হোসেন রোড), আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়। এ সকল রুটের মুখে রোড বøক স্থাপন ও ডাইভারশন প্রদানের মাধ্যমে ভিভিআইপি চলাচলের সময় সকল ধরণের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সমাবেশে গাড়ি নিয়ে আসা অংশগ্রহণকারীদের জন্য ড্রপিং পয়েন্ট হলো নতুন ব্রীজ গোল চত্বরের পশ্চিম পার্শ্বে, কদমতলী মোড়, ষোলশহর রেল স্টেশনের সামনে রাস্তা, শহীদ শাহজাহান মাঠ ও আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়। বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের ড্রপিং পয়েন্ট শহীদ শাহজাহান মাঠ ও নিউ মার্কেট।
ভিআইপি’রা যেভাবে যাবেন মাঠে
পুলিশের নির্দেশনা মতে, সমাবেশে আসা মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃৃন্দ, জিওসি- ২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয়গণের ড্রপিং পয়েন্ট পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে (টাইগারপাস হতে সকল গাড়ি উল্টো পথে এসে ড্রপ করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গাড়ি ইউর্টান করে কাঠের বাংলো দিয়ে সিআরবিতে চলে যাবে। মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জিওসি-২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিগণের গাড়ি সোজা সামনে গিয়ে রেলওয়ে পাবলিক স্কুল মাঠে প্রবেশ করবে । ওখানে গাড়ী রেখে যেতে হবে মাঠে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের পার্কিং
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃৃন্দের পার্কিং হবে সিআরবি সাত রাস্তা (এক সারিতে)। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের গাড়ি পার্কিং হবে শহীদ শাহজাহান মাঠ ও শুভপুর বাস টার্মিনাল। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের কার পার্কিং পুরাতন রেল স্টেশন ও সিআরবি সাত রাস্তা।মহানগর ও জেলা নেতৃবৃৃন্দের কার পার্কিং করবেন জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠ, পুরাতন রেল স্টেশন ও প্যারেড গ্রাউন্ড। নেতৃবৃন্দের মাইক্রোবাস পার্কিং স্থান প্যারেড গ্রাউন্ড (চকবাজার)। এছাড়া সমাবেশে আসা বাসগুলো পার্কিং করবে নতুন ব্রীজ হতে কালামিয়া বাজার এক্সেস রোড, শুভপুর টার্মিনাল, ফরেস্ট গেইট (বন গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ), বহদ্দারহাট টার্মিনাল, শহীদ শাহজাহান মাঠ (আমবাগান রোড), আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও অলংকার আলিফ গলি। বিভিন্ন মিডিয়ার কার পার্কিং করবে জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠে।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.