--- বিজ্ঞাপন ---

বিশ্বের ষষ্ঠ প্রজম্মের বোমারু বিমান উন্মোচন করেছে আমেরিকা

0

বিশ্বের প্রথম কোন ষষ্ঠ প্রজন্মের হেভি বি-২১ রেইডার সুপার স্টেলথ বোম্বার বিমান আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে ‘আমেরিকা’! গত ২রা ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী বিশ্বের প্রথম কোন ষষ্ঠ প্রজন্মের কনসেপ্টের হেভি বি-২১ রেইডার সুপার স্টেলথ বোমারু বিমানের প্রটোটাইপ কপি বিশ্বের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে। মার্কিন এভিয়েশন জায়ান্ট ‘নরথ্রপ গ্রুম্যান’ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার পামডেলে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স প্ল্যান্ট ৪২ তে জনসাধারণের সামনে প্রদর্শন করে।

খুব সম্ভবত ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে এর প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইট টেস্ট সম্পন্ন করা হতে পারে। তাছাড়া এটি মার্কিন বিমান বাহিনীতে সার্ভিসে আসতে পারে ২০২৬-২৭ সালের দিকে। বর্তমানে বিমান বাহিনীতে অপারেশনাল থাকা পুরনো সকল বি-২ স্পিরিট ও বি-১বি সিরিজের হেভী বোম্বার এয়ারক্রাফটের রিপ্লেস হিসেবে এটিকে ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে সার্ভিসে আনতে চায় আমেরিকা। ৬ষ্ঠ প্রজন্মের কনসেপ্টের বি-২১ রেইডার স্টেলথ লং রেঞ্জ স্টাইক বোম্বার ডিজাইন ও তৈরি করছে মার্কিন এভিয়েশন জায়ান্ট নরথ্রপ গ্রুম্যান। মার্কিন বিমান বাহিনী এটি সার্ভিসে আসার পর এরুপ কমপক্ষে ১০০টি বি-২১ রেইডার সুপার স্টিলথ হেভী বোম্বার ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে সার্ভিসে আনার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকার বিমান বাহিনী।

বি-২১ রেইডার স্টাইক বোম্বার হলো বি-২ স্পিরিটের মতো দেখতে একটি নতুন প্রজন্মের কৌশলগত ও দীর্ঘ পাল্লার বোমারু বিমান। যা কিনা নিউক্লিয়ার এণ্ড কনভেনশনাল উভয় ধরণের অস্ত্র বহন করার বিশেষ উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে। এর পেটে থাকা ২টি ওয়েপন্স ‘বে’-তে ৮টি করে মোট ১৬টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ক্যাপবল লং রেঞ্জ স্ট্যাণ্ড অফ (এলআরএসও) মিসাইল এবং ৫০ কিলোটন ধ্বংস ক্ষমতা সম্পন্ন বি-৬১-১২ নিউক্লিয়ার বম্বস বহন করবে। তবে প্রচলিত বা কনভেনশনাল কমব্যাট মিশনের জন্য, বি-২১ বোম্বার জেএএসএসএম-ইআর ক্রুজ মিসাইল এবং দু’হাজার পাউন্ড ওজনের জিবিইউ-৩১ জয়েন্ট ডাইরেক্টেড অ্যাটাক মিউনিশন স্যাটেলাইট-গাইডেড বোম্বস ব্যবহারের বিষয়টি আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। তার সাথে উচ্চ প্রযুক্তির নিজস্ব সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইনস্টল করা হবে এতে।

আবার উচ্চ প্রযুক্তির বি-২১ বোম্বারের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করার জন্য, বিমান বাহিনী বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান থেকে অ্যাডভান্সড অ্যাপ্লিকেশন রোটারি লঞ্চারটি পুনরায় ব্যবহার করছে নরথ্রপ গ্রুম্যান। ২০১০ সালের দিকে প্রতিটি এই জাতীয় সুপার স্টিলথ বোম্বারের প্রডাকশন কস্ট ধরা হয়েছিল আনুমানিক ৫৫০ মিলিয়ন ডলার। তবে বর্তমানে ব্যাপক মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে এই প্রতিটি ইউনিট কস্ট ৭৫০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ব্যয় হবে আমেরিকাকে।

এদিকে বিশ্বের অন্যতম সামরিক সুপার পাওয়ার চীন তার নিজস্ব প্রযুক্তির এইচ-২০ হেভী বোম্বার এবং রাশিয়ার তার পিএকে-ডিএ লং রেঞ্জের স্টাইক বোম্বার প্রজেক্ট নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করে যাচ্ছে। তবে তারা কিন্তু আজো বিশ্বের সামনে উম্মোচন করার মতো কোন প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। যদিও চীন ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার ভবিষ্যত প্রজন্মের এইচ-২০ বোম্বার বিশ্বের সামনে উম্মোচন করতে পারে। এদিকে আমেরিকা প্রথম তার স্টেলথ বি-২ স্পিরিট বোম্বার সার্ভিসে আনে আজ থেকে ৩৪ বছর আগেই ১৯৮৮ সালে।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.