--- বিজ্ঞাপন ---

ভারতের নৌবাহিনীতে সাবমেরিন ‘আইএনএস ভগীর’

0

সিরাজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি#

ভারতীয় নৌবাহিনীতে অনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনিং লাভ করেছে নতুন প্রজন্মের ‘আইএনএস ভগীর’ এ্যাটাক সাবমেরিন। মূলত স্টেলথ ক্যাপাবিলিটি সম্পন্ন ফ্রান্সের স্কোপিয়ান সাবমেরিন প্রযুক্তি নিয়ে নিজ দেশেই এই জাতীয় অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরি করেছে ভারত এবং ‘আইএনএস ভগীর’ হচ্ছে কালাভারি ক্লাসের ৫ম ফাস্ট এ্যাটাক সাবমেরিন। যা কিন্তু ভারত মহাসাগরের বুকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভাল ফোর্সের অবাধ বিচরণকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছে। এটিকে আসলে ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে প্রথম সী-ট্রায়ালের উদ্দেশ্যে সাগরে বুকে ভাসানো হয়।
সূত্র মতে, সাব-মার্জড অবস্থায় ১,৯৫৭ টন ওজনের এই ‘আইএনএস ভগীর’ সাবমেরিনের রেঞ্জ ৬,৫০০ নটিক্যাল মাইল এবং এটি কিন্তু সাগরের বুকে ৩৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে সক্ষম। তাছাড়া ৮ জন অফিসার এবং ৩৬ জন নাবিক দ্বারা চালিত এই লাইট ওয়েট সাবমেরিনটি একবার জ্বালানী ও খাদ্য নিয়ে একটানা ৫০ দিন পর্যন্ত সাগরের বুকে লুকিয়ে থাকতে পারে।
‘আইএনএস ভগীর’ এট্যাক সাবমেরিনের প্রধান অস্ত্র হিসেবে ১৮টি এসইউটি টর্পেডো বহন করে। যা কিনা ৬টি ৫৩৩ এমএম টর্পেডো টিউব থেকে ফায়ার করা হয়। অথবা সমন্বিত ওয়েপন্স হিসেবে এন্টিশীপ মিসাইল হিসেবে এসএম-৩৯ এস্কোর্ট এবং ৩০টি শক্তিশালী নেভাল মাইন ক্যারি করে। এটির ন্যাভাল কমব্যাট ক্যাপাবিলিটি থাকলেও সাগরের বুকে সাবমেরিন থেকে রিকর্নিসেন্স এন্ড সার্ভেলাইন্স মিশন পরিচালনা করার বিশেষ প্রযুক্তি ইনস্টল করেছে ভারত।
জানা গেছে, ভারতের নৌবাহিনীতে বর্তমানে মোট ১৭টি সাবমেরিন অপারেশনাল রয়েছে। তার মধ্যে ৬ হাজার টন ওজনের নিউক্লিয়ার পাওয়ারড ‘অরিহন্ত ক্লাস’ ব্যালেস্টিক মিসাইল সাবমেরিন ১টি, ডিজেল ইলেক্ট্রিক পাওয়ারড কালাভারি ক্লাস ৫টি, শিশুমার ক্লাস ৪টি এবং সিন্ধুঘোষ ক্লাসের মোট ৭টি সাবমেরিন রয়েছে। তবে ভারতকে এটা খেয়াল রাখতে হবে যে, তার মূল প্রতিদ্বন্দী চীনের সাবমেরিন এন্ড আদার্স নেলাভ ফ্লীট কিন্তু খুবই বিশাল আকারের। এখানে ভারত মহাসাগরে ভারতকে ব্যস্ত রাখতে চীন কিন্তু ঠিকই তার নৌবহরের অত্যন্ত শক্তিশালী (নিউক সাবমেরিনসহ) ১০টি বা তার কাছাকাছি সাবমেরিন গোপনে মোতায়েন করে রেখেছে কিংবা সেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে যাচ্ছে।
তাছাড়া বর্তমানে চীনের নৌবাহিনীতে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৭৯টি সাবমেরিন রয়েছে। যার মধ্যে নিউক্লিউয়ার পাওয়ারড ব্যালেস্টিক মিসাইল সাবমেরিন ৮টি এবং নিউক্লিয়ার এ্যাটাক সাবমেরিন রয়েছে ১২টি। তাছাড়া আমেরিকার ৬৮টি, রাশিয়ার ৬৪টি, উত্তর কোরিয়ার ৩৬টি, ইরানের ২৯টি, দক্ষিণ কোরিয়ার ২২টি, জাপানের ২০টি, ভারতের ১৭টি, তুরস্কের ১২টি এবং যুক্তরাজ্যের ১১টি শক্তিশালী সাবমেরিন রয়েছে। এখানে প্রকাশ থাকে যে, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের নৌবাহিনীর শতভাগ সাবমেরিন কিন্তু নিউক্লিয়ার পাওয়ারড চালিত। আগে ২০২১ সালের দিকে উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিনের সংখ্যা ৭২টি দেখানো হলেও বাস্তবে তার ৫০% ই ছিল সম্পূর্ণ অচল কিংবা অব্যবহার যোগ্য।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.