--- বিজ্ঞাপন ---

আবারো আলোচনায় ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক ইস্যু

0

আবারো আলোচনায় বিএনপি সরকারের আমলে চট্টগ্রামে আটক করা ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি। উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া বাংলাদেশে তার মেয়েকে দেখতে এসে গত ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল আটক ১০ ট্রাক অস্ত্র ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যমকে নানা কথা বলেন। তিনি বলেছেন, বিপুল এসব অস্ত্র আসার কথা বিএনপি সরকার জানতো। এ সব অস্ত্র একা উলফার ছিল না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অনুপ চেটিয়া সে সময় জন ডেভিড নামধারণ করে নিজের ব্যবসা চালাতেন। চট্টগ্রামের বিশাল এ অস্ত্র পাচার ঘটনায় অনুপ চেটিয়ার খোলামেলা বক্তব্যের পর গত শুক্রবার রাতে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ অস্ত্র নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন।
তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তো নিজেরা সন্ত্রাসী দল, সুতরাং দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার করে ভারতর্ষেও তারা অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। যে কথাটি আমরা এতদিন বলে আসছিলাম। বিএনপি’র মন্ত্রী-এমপি, হাওয়া ভবন ও হাওয়া ভবনের বরপুত্র তারেক রহমান যে অস্ত্র চোরাচালানের সাথে যুক্ত ছিল এটি অনুপচেটিয়ার সা¤প্রতিক বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উন্নয়ন সমন্বয় সভার পূর্বে ভারতীয় সন্ত্রাসী অনুপ চেটিয়া স¤প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় দশ ট্রাক অস্ত্র আনা ও খালাসের ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন – এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী কোন দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা আমরা সহ্য করব না। সেই কারণে এ ধরনের চোরাচালান এবং অস্ত্র চোরাচালান পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে। গতবছর আমি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সফরে গিয়েছিলাম। বিএনপি’র সময়ে হাওয়া ভবন এবং তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্র চোরাচালান হয়েছে, বর্তমানে যে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে সেগুলো হচ্ছে না, সেজন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী আমার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলো।

সূত্র জানায়, উলফার জন্য আনা বিশাল এ অস্ত্রের চালানটি ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল ধরা পড়ে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় কর্ণফুলির তীরে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানীর ঘাটে। উল্লেখযোগ্য অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একে-৪৭ রাইফেল ৬৯০টি, একে-৫৬ রাইফেল ৬০০টি, উজি গান ৪০০টি, টমি গান ১০০টি, আর্জেস গ্রেনেড ২৭ হাজার, ১১ লাখ ৩৯ হাজার গুলি। জানা গেছে, তোলপাড় করা এ অস্ত্র মামলার অন্যতম প্রধান আসামী হাফিজুর রহমান ২০০৫ সালের ২৬ অক্টোবর হাইকোর্টে আত্মসমাপর্ন করলে পুলিশ গ্রেফতার করে। মূলত মিরপুর থানার মামলা নং ৮৪ প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্ত গ্রেফতারের পর হাফিজুর রহমান চট্টগ্রামে আটক হওয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। হাফিজুর পুলিশের কাছে তার লিখিত বক্তব্যে জানায়, আসামের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া এ অস্ত্র রিসিভ করতে চট্টগ্রাম আসে। উলফার পক্ষ থেকে এ খালাসের কাজে নিয়োজিত ছিল চট্টগ্রামের অস্ত্র ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান। উলফার সাহায্যে অত্যাধুনিক এ অস্ত্র ভারতের কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী সংঠনের জন্য আনা হয়েছিল।
হাফিজুর উল্লেখ করে, উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সাথে জাতীয় পাটির্র নেতা অভির মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে পরেশ বড়–য়ার সাথে তার ঘনিষ্টতা হয়। এক পর্যায়ে পরেশ বড়ুয়া তার সাথে ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাব দিলে হাফিজুর রাজি হয়। ব্যবসার এক পর্যায়ে বিদেশ থেকে কিছু মেশিনারিজ আমদানি হবে এবং চট্টগ্রামে এসব মেশিনারিজ খালাসের জন্য হাফিজুরকে দায়িত্ব দেয়। জোট সরকারের এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতার সহযোগিতায় এসব অস্ত্র বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আসামে পৌছানোর কথা ছিল। দেশের শীর্ষ চোরাচালানি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানকে সার্বিক দায়িত্ব দেয়। মেশিনারিজ আসলে যথারীতি হাফিজ তা খালাসের জন্য চট্টগ্রামে আসে। এ সময় পরেশ বড়–য়ার নিজে ছদ্ম নাম ‘জামান’ বলে প্রচার করে। ২০০৪ সালের মার্চে পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করে হাফিজ। ধানমন্ডি এক বাসায় তাদের কথা হয়। হাফিজকে বলা হয় মেশিনারিজের পরিমান বেশি। তাই বিশ্বস্ত লোক হিসেবে এসব মেশিনারি তাকে খালাস করতে হবে। বিনিময়ে তাকে দেয়া হবে তার চাহিদা মতো টাকা। পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে উলফার আরও এক নেতা বৈঠকে উপস্থিত ছিল, যার ছদ্ম নাম আসিফ। এ আসিফ ও পরেশ বড়–য়া মিলে বাংলাদেশের কোন জলসীমায় এসব অস্ত্র নামানো হবে এবং কীভাবে তা খালাস করতে হবে সবকিছু বুঝিয়ে দেয় হাফিজকে। পরেশ বড়ুয়া হাফিজকে বলে দেন, ২৯ মার্চ মালগুলো নিয়ে লোকজন সমুদ্রপথে রওনা দেবে। বৈঠকের দিন বিকেলে পরেশ বড়ুয়া ধানমন্ডি উইম্পির সামনে দুটি কাগজের কাটুর্নে করে হাফিজকে ৫০ লাখ টাকা নগদ দেয়। বলে, এগুলো খালাসের জন্য খরচ করতে। বৈঠকের পরদিন উলফা নেতা জনৈক আসিফ ধানমন্ডির উইম্পির সামনে থেকেই হাফিজকে গাড়িতে তুলে নেয়। তারা রওয়ানা হয় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে হাফিজ ফোন করে চট্টগ্রামের ট্রলার মালিক হাজী সোবহানকে। মালামালের বিষয়ে তাকে বিস্তারিত বলা হয়। চট্টগ্রামে পৌছে তারা উঠে নগরীর হোটেল গোল্ডেন ইন এ। গোল্ডেন ইন থেকে হাফিজ চলে যায় তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান লালদীঘির পাড়স্থ চশমার দোকান নুর অপটিক্যালস এ। হাজী সোবহান দোকানে হাফিজের সঙ্গে দেখা করে। এ সময় হাজী সোবহান মাল খালাসের জন্য দাবী করে ১০ লাখ টাকা। তাকে ৪ লাখ টাকা দেয়ার পর সে আরও ১ লাখ টাকা দাবি করে। হাফিজ পরেশ বড়ুয়ার কাছ থেকে নেয়া ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ট্রলার ভাড়া বাবদ সাড়ে ১২ লাখ টাকা খরচ করে। বাকি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা সে তার পটিয়ার বাড়িতে খাটের তলায় লুকিয়ে রাখে। ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় ট্যাক্সি ক্যাব নিয়ে উলফা নেতাদের নিয়ে কয়লার ডিপো এলাকায় গমন করে। সেখান থেকে সাম্পানে করে নদীতে অবস্থানরত ট্রলারে উঠে। ট্রলার দুটি রাত ১২ টায় রওনা হয়। ৩০ মার্চ রাত ১০ টায় ট্রলার দুটি গভীর সমুদ্রে দন্ডায়মান একটি জাহাজের কাছে পৌছে। এসময় উলফা নেতারা দন্ডায়মান জাহাজ লক্ষ্য করে হ্যান্ড মাইকে কিছু কোড উচ্চারনের করলে জাহাজ থেকেও জবাব দেয়া হয়। উলফা নেতারা এ সময় জাহাজে উঠে সাথে নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র এবং টাকা পরিশোধের রশিদ দেখায়। রাত ১১টা থেকে মাল ডেলিভারি শুরু হয়। প্রায় ১৪ ঘন্টা ধরে চলে মাল ডেলিভারী।


ট্রলার দুটি লোড হবার পর পরই চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ৩১ মার্চ ঘুরপথে ট্রলার দুটো নোঙ্গর করে সাগরের টেকনাফ সীমান্তে। ১ এপ্রিল ভোর ৬ টায় টেকনাফ থেকে ১০ টায় কক্সবাজার। কক্সবাজারে ট্রলার থেকে হাফিজ নেমে যায়। হাজী সোবহান এবং উলফা নেতারা ট্রলার দুটিতে সার্বক্ষনিক তদারকিতে থাকে। হাফিজ কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে রওনা হয় চট্টগ্রামে। কক্সবাজার থেকে সে সরাসরি চলে আসে তার পটিয়াস্থ বাড়িতে। বাড়ি থেকে সে ২৯ লাখ টাকা নিয়ে তার লাল প্রাইভেট কার যোগে সিইউএফএল ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। হাফিজ ৯ লাখ টাকা রাখে গাড়ির ড্যাশবোর্ডে এবং বাকি টাকা রাখে গাড়ীর ফ্লোর ম্যাটের নীচে। সিইউএফএল ঘাট থেকে মাল নেয়ার জন্য ট্রাক ঠিক করার দায়িত্ব ছিল উলফা নেতা ছদ্মনামধারী জুয়েলের। ফোনে ৭টি ট্রাকের ব্যবস্থা হয়েছে বলে হাফিজকে জানায় জুয়েল। শ্রমিক নেতা বাবু এগুলো ভাড়া করে দিয়েছে। এ বাবুই হচ্ছে শ্রমিক নেতা হাজী ইয়াকুব। ট্রাকগুলো এস আলম সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর আশপাশেই রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়। হাফিজ তার প্রাইভেট কার যোগে সরাসরি হোটেল গোল্ডেন ইন এ আসে। এখান থেকেই উলফা নেতাদের নিয়ে সে রওনা হয় সিইউএফএল জেটির উদ্দেশ্যে। ১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় তারা পৌছে সিইউএফএল ঘাটে। এখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় হাজী সোবহান, আরজু পাগলা, দীন মোহাম্মদের। তারা জানায় ট্রলার দুটি নেভাল একাডেমির কাছে নদীর মোহনায় নোঙ্গর করে সাম্পান যোগে তারা ঘাটে এসেছে। ট্রলার থেকে মাল খালাসের জন্য হাফিজ ৮ লাখ প্রদান করে আরজু পাগলাকে। এ সময় প্রতি বক্স ৮শ টাকা হিসেবে ১৫শ বাক্সের জন্য এ টাকা দেয়া হয়। মাল খালাসের পূর্বেই ঘাটের চর্তুপাশে উলফার লোকজন অবস্থান নেয়। লোডিং এর জন্য প্রস্তত থাকা ৭টি ট্রাকে মাল খালাস শুরু হয়। রাত ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশের সার্জেন্ট আলাউদ্দিন। তিনি দীন মোহাম্মদের সঙ্গে কথা বলে সাম্পানযোগে কয়লার ডিপোর উদ্দেশ্যে চলে যায়। এক পর্যায়ে তিনি আবার ফিরে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন ৩ পুলিশ। লুঙ্গি ও সার্ট পরা অবস্থায় ছিল পুলিশ। তাদের হাতে ছিল লাঠি। কোন অস্ত্র ছিলনা। সার্জেন্ট ছিল সিভিল ড্রেসে। তার কাছে একটি রিভলবার ছিল। এক পর্যায়ে সার্জেন্ট মাল খালাস বন্ধ করতে বলেন। ঘটনাটি মোবাইলে কর্ণফুলি থানার ওসিকে জানানোর সার্জেন্ট আরো ফোর্স পাঠাতে বলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে হাজী সোবহানকে সঙ্গে নিয়ে হাফিজ মেরিন একাডেমির পাশ দিয়ে সাম্পানযোগে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পড়েছিল হাফিজের গাড়ী। গাড়ীতে ছিল ২০ লাখ টাকা। কে বা কারা হাফিজের গাড়ী নিয়ে সটকে পড়ে। পুলিশ পরে গাড়ীটি উদ্ধার করলেও টাকার হদিস পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে ভারতীয় তৎকালিন হাইকমিশনার বীনা সিক্রি চট্টগ্রামে আসেন। এ সময় চট্টগ্রামের তৎকালিন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথেও বৈঠক করেন।
জানা গেছে, ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় এবং ১৮৭৮ সালের ১৯(এ) ধারায় অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার পর তদন্ত আর এগুয় নি। বার বার বদল হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। অনেক টানাপোড়েস শেষে ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর গত ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদÐের আদেশ দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অস্ত্র মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এদের মধ্যে ৩৮ জনকে আদালত মুক্তি দেয়। মৃত্যুদÐ পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন-উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া, সাবেক শিল্পসচিব নুরুল আমিন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ, উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ ও হাজি আবদুস সোবহান।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.