--- বিজ্ঞাপন ---

ইলন মাস্কের নিউরালিংক মানুষের মাথায় চিপ স্থাপন করা নিয়ে গবেষণা শুরু করতে যাচ্ছে

0

সিরাজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি#

মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপন করে কাল্পনিক সুপার হিউম্যান কিংবা উচ্চ প্রযুক্তির ডিভাইসের সাথে মানুষের এক অভিনব যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে গবেষণার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম সারির প্রযুক্তি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। মূলত মানব মস্তিষ্কে অতি উচ্চ প্রযুক্তির ন্যানো চিপ স্থাপনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে মানুষের মস্তিস্ককে সুপার ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটারের সমকক্ষ করে তোলা ও অভিনব যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিংকের বিজ্ঞানীরা।

আর এ সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর গবেষণা ও পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগস এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর অনুমোদন পেয়েছে নিউরালিংক। যেহেতু মানব মস্তিষ্কের এভারেজ ডাটা স্টোরেজ ক্যাপাসিটি আনুমানিক প্রায় ২.৫ মিলিয়ন জিবি। আর সারা জীবনে একজন মানুষ এই বিপুল পরিমাণ ডাটা স্টোরেজ ক্যাপাসিটির খুব সম্ভবত মাত্র ৬% থেকে সর্বোচ্চ ৯% পর্যন্ত ব্যবহারের সুযোগ পেতে পারে।

মোট কথা মানব মস্তিষ্ককে একটি মিনি সুপার কম্পিউটার বললেও ভূল কিছু হবে না। আর তাই অনেকটা অমানবিক ও চরম মাত্রায় নিষ্ঠুরতা মনে হলেও বর্তমানে ইলন মাস্কের নিউরালিংক উচ্চ প্রযুক্তি নির্ভর গবেষণামূলক সংস্থাটি মানুষের এই বিপুল পরিমাণ ডাটা স্টোরেজ ক্যাপাসিটি এন্ড এনালাইসিস ক্যাপাবিলিটিকে নিজের স্বার্থে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ন্যানো চিপ স্থাপন করাটা সম্ভব কিনা তা নিয়ে গবেষণা করতে চায়।

যদিও এ জাতীয় জটিল প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা এখনো পর্যন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে কিংবা হয়ত এখনো পর্যন্ত শুরু করাই হয়নি। তাই আপাতত এই জাতীয় গবেষণাকে সফল হয়েছে বা হতে যাচ্ছে তা বলার সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে এই জাতীয় রিসার্চ সফল হলে তা কিছুটা মানব জাতির কল্যানে ব্যবহার হবে বলে আশা করা হয়। তবে এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ব্যবহারের অর্থাৎ অতি ভয়ঙ্কর উচ্চ প্রযুক্তির সামরিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে প্রয়োগ করার সমুহ আকাঙ্খা থেকেই যাচ্ছে।

বিশেষ করে বিংশ শতাব্দীতে মানুষ নিউক্লিয়ার ফিউসন টেকনোলজি আবিষ্কার করার পর তা মানব জাতির কল্যাণে নিউক্লিয়ার পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হলেও তার চেয়ে অতি ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের মাত্র ৯টি দেশের কাছে প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি নিউক্লিয়ার এন্ড থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র রয়েছে। যা দিয়ে কিনা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে কমপক্ষে একশত বার ধ্বংস করা সম্ভব।

তাছাড়া দীর্ঘদিনের গবেষণার ফসল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি প্রযুক্তি এখন বাস্তবতা হলেও এটার ভবিষ্যত ব্যবহার নিয়ে এখন বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা কিন্তু প্রবল আশাঙ্কা ও চরম মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। আর তাই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অতি উচ্চ প্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়া মানেই যে শুধু তা ভবিষ্যতে মানব কল্যাণেই ব্যবহৃত হবে এমনটা শতভাগ আশা করার আর কোন সুযোগ থাকে না।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.