বিগত দুই মাসের কিছুটা ধীর গতির পর পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জুন মাসের শুরু থেকেই আবারও চাঙ্গা হতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ। মূলত চলতি জুন মাসের প্রথম ৯ দিনে সম্মানিত প্রবাসী কর্মীরা দেশে ৫৭ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮০ হাজার ডলার বা প্রায় ৫৭৬ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা রেমিট্যান্স আয়ের একটি ইতিবাচক অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তাছাড়া চলতি ২০২৩ সালের মে মাসে ১.৬৯২ বিলিয়ন ডলার, এপ্রিল মাসে ১.৬৮৫ বিলিয়ন ডলার এবং মার্চ মাসে ২.০২৩, ফেব্রুয়ারি মাসে ১.৫৬ এবং জানুয়ারি মাসে ১.৯৫৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আয় করে বাংলাদেশ। তবে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ পরিমাণে ২.১৭১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে গত ২০২১ সালের মে মাসে।
এদিকে একক কোন বছর হিসেবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। মূলত গত ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আয় হয় ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১.০৩২ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮.২১ রেমিট্যান্স দেশে আসে। তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই ২০২২ থেকে মে ২০২৩ পর্যন্ত) মোট ১৯.৪১২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। সে হিসেবে চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্স প্রাপ্তির পরিমাণ প্রায় ২১.৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, একক কোন দেশ হিসেবে গত মে মাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ সৌদি আরব থেকে। মূলত গত মে মাসে সৌদি আরব থেকে ২৩০.০৮ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। তারপর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৩৫.৬৭ মিলিয়ন ডলার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২৫.১৮ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন আমাদের প্রবাসী কর্মীরা।
আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই ২০২২ থেকে মে ২০২৩) সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স আসে সেই আবার সৌদি আরব থেকে। এ সময়ে সৌদি আরব থেকে ৩.৩৬ বিলিয়ন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩.২৮ বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২.৬৪৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন আমাদের দেশের সম্মানিত প্রবাসী কর্মীরা। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই সময়ে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত থাকায় তা নিয়ে আশ্চর্য প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।##