--- বিজ্ঞাপন ---

ভারতের অগ্নি-পি প্রাইম সিরিজের স্ট্যাটিজিক ব্যালেস্টিক মিসাইল এমআরবিএম

0

সিরাজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি#
ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এর একটি সফল ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল (এমআরবিএম) হচ্ছে অগ্নি সিরিজের ‘অগ্নি-পি (প্রাইম) ব্যালেস্টিক মিসাইল। ডিআরডিও এর ডিজাইনকৃত নতুন প্রজন্মের এই ব্যালেস্টিক মিসাইলটিকে নিউক্লিয়ার এন্ড কনভেনশনাল ওভারহেড ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
নতুন প্রজন্মের এই অগ্নি-পি (প্রাইম) সিরিজের ব্যালেস্টিক মিসাইলটি ম্যানুফ্যাকচারিং করে ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড। ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জের (২ হাজার কিলোমিটার) এই ব্যালেস্টিক মিসাইলটি যে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সম্পূর্ণ অংশ এবং চীনের মূল ভূখন্ডের আংশিক অঞ্চলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।
এই মিসাইলের পরীক্ষিত সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১-২ হাজার কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গতি দ্বিতীয় স্টেজে প্রায় ম্যাক ৭ এর কাছাকাছি। এটি খুব সম্ভবত একটি ৩ টন ওজনের (এমএআরভি) বা দুটি ১.৫ টন ওজনের কনভেনশনাল (এমআইআরভি) ওয়ারহেডের পাশাপাশি থার্মোবরিক এবং নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহণ করতে সক্ষম। এটি হচ্ছে অগ্নি সিরিজের ৬ষ্ঠ তম ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেম।
দুই স্তরের সলিড ফুয়েল প্রপেল্যান্ট বিশিষ্ট এই ব্যালেস্টিক মিসাইলটির ওজন মাত্র ১১ টন। এর দৈর্ঘ্য ১০.৫ মিটার এবং ডায়ামিটার হচ্ছে ১.১৫ মিটার। এটি কিন্তু তার টার্গেটের ম্যাক্সিমাম ১০ মিটারের মধ্যে হীট করতে সক্ষম। এই মিসাইলটিকে মোবাইল রেল এবং ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চার প্লটফোর্ম থেকে খুব দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মোতায়েন করা সম্ভব।
ডিআরডিও আসলে চলতি ২০২৩ সালের ৭ই জুন অগ্নি-পি (প্রাইম) সিরিজের ব্যালেস্টিক মিসাইলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বশেষ পরীক্ষা সম্পন করে। যদিও এটির প্রথম পরীক্ষা চালানো হয় গত ২০২১ সালের ২৮শে জুন এবং ১৮ই ডিসেম্বর এর দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছিল। তাছাড়া গত ২০২২ সালের ২১শে অক্টোবরে তৃতীয় পর্যায়ে এর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছিল ভারত।
১৬ টন ওজনের গ্নি-২ সিরিজের মিসাইলের তুলনায় নতুন প্রজন্মের অগ্নি-পি (প্রাইম) এর ওজন কিন্তু ৫ টন কম করে তৈরি করা হয়েছে। কম্পোজিট ম্যাটারিয়ালের তৈরি এই ব্যালেস্টিক মিসাইল ওজনে অনেকটা হালকা হওয়ায় এটিকে রেল বা সড়ক পথে বিশেষ সামরিক যান থেকে এই মিসাইলটিকে খুব সহজেই যে কোন স্থানে মোতায়েন এবং খুব দ্রুত শত্রু পক্ষের টার্গেটে হামলা করা সম্ভব।
ডিআরডিও এর গাইডেন্স সিস্টেম হিসেবে আধুনিক রিং-লেজার জাইরোস্কোপের ওপর ভিত্তি করে ইন্টারনাল নেভিগেশন সিস্টেম ইনস্টল করেছে। তার পাশাপাশি মাইক্রো ইন্টারটেল নেভিগেশন এবং ডিজিটাল কন্ট্রোল সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। আবার এটিকে কিন্তু বিকল্প হিসেবে জিপিএস কিংবা নেভাল-সি স্যাটালাইট গাইডেন্স সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.