--- বিজ্ঞাপন ---

সার্ভিসে আসতে যাচ্ছে ভারতের তেজাস মার্ক-১এ সিরিজের যুদ্ধবিমান

0

সিরাজুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধি#

ভারতের বিমান বাহিনী বর্তমানে ৩৩টি নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি ৪++ প্রজন্মের “তেজাস” এমকে-১ সিরিজের লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট অপারেট করে। মূলত হিন্দুস্থান এ্যারোনেটিকস লিমিটেড (এইচএএল) এর নিজস্ব ডিজাইনকৃত এই যুদ্ধবিমানের প্রায় ৪৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি নিজ দেশেই উৎপাদন করা হচ্ছে। আর নিজস্ব প্রযুক্তির এই প্রডাকশন ক্যাপাবিলিটি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে ভারত।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিমান বাহিনী নতুন করে আরও ৮৩টি তেজাস এমকে-১এ সিরিজের হাইলি অ্যাডভান্স তেজাস যুদ্ধবিমান ক্রয়ের অর্ডার করেছে। এই ৮৩টি তেজাস যুদ্ধবিমানের মূল্য ধরা হয়েছে ৪.৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩৬,৪৬৮ কোটি রুপি। সে হিসেবে প্রতিটি তেজাস যুদ্ধবিমানের পার ইউনিট কষ্ট হয় ৫৩ মিলিয়ন ডলার। হিন্দুস্থান এ্যারোনেটিকস লিমিটেড আগামী ২০২৪ সাল থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত নতুন সিরিজের তেজাস যুদ্ধবিমান বিমানবাহিনীকে পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে।

হিন্দুস্থান এ্যারোনেটিকস লিমিটেড (এইচএএল) এর তৈরি মার্ক-১এ সিরিজের লাইট যুদ্ধবিমানে ইএল/এম-২০৫২ এবং উত্তম এইএসএ রাডার, সেলফ প্রটেকশন জ্যামার, রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার ও এক্সটার্নাল এএমসি পড ইনস্টল করা হয়েছে। হাল গত ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তেজাস যুদ্ধবিমানের মার্ক-১এ সিরিজের যুদ্ধবিমান প্রথম উন্মোচন করে।

এদিকে ভারতের মার্ক-১ অপেক্ষা মার্ক-১এ সিরিজের যুদ্ধবিমান কিছুটা লাইট ওয়েট করে তৈরি করা হয়েছে। এতে করে নতুন সিরিজের মার্ক-১এ সিরিজের লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফটের ওয়েপন্স ক্যারি ক্যাপাবিলিটি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগের ভার্সনের সকল সীমাবদ্ধতা সর্বোচ্চভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। তার পাশাপাশি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ওয়েপন্স এন্ড এভিয়নিক্স সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

তেজাস যুদ্ধবিমান গত ২০১৫ সালে সার্ভিসে আসলেও এখন পর্যন্ত কিন্তু একটি যুদ্ধবিমানও কারিগরি ত্রুটিজনিত কারণে আকাশে ধ্বংস বা ক্রাশ ল্যান্ডিং করেনি। তবে এটা ঠিক যে, তেজাস কমব্যাট এয়ারক্রাফটকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেডিকেটেড এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন যুদ্ধবিমানের পর্যায়ের পৌঁছে গেছে তা কিন্তু মোটেও নয়। চলতি ২০২৩ সালের ২৩শে আগস্ট পর্যন্ত হিন্দুস্থান এ্যারোনেটিক্স লিমিটেড মোট ৫০টি ইউনিট বিভিন্ন সিরিজের তেজাস যুদ্ধবিমান তৈরি করলেও নিজস্ব প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা থাকায় ভারত এর ম্যাসিভ প্রডাকশন লাইন এখনো পর্যন্ত চালু করতে পারেনি। এটিকে ২,৪৫৮ কেজি ফুয়েলের পাশাপাশি ম্যাক্সিমাম ৫,৩০০ কেজি ওজনের পে-লোড ক্যারি করার উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে।

এখানে প্রকাশ যোগ্য যে, ভারতের হিন্দুস্থান এ্যারোনেটিকিস লিমিটেড বর্তমানে নিজস্ব বা দেশীয় প্রযুক্তির তৈরি ১১০ কিলোমিটার রেঞ্জের অস্ত্র মার্ক-১ এয়ার টু এয়ার মিসাইল ও তার পাশাপাশি অত্যাধুনিক ব্রহ্মস-এনজি এয়ার লঞ্চড বেসড ক্রুজ মিসাইলের ব্যবহারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ভারতের বিমান বাহিনী। তাছাড়া বন্ধুভাবাপন্ন দেশ থেকে আমদানি করা আর-৭৩ এয়ার টু এয়ার মিসাইল, ফ্রান্সের এএএসএম- হ্যাম্মার এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল এবং কেএইচ-৩৫/৫৯ এন্টিশীপ মিসাইল ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারত। এদিকে এই জাতীয় অ্যাডভান্স কমব্যাট এয়ারক্রাফটে শক্তি উৎপাদন ও আকাশে গতি অর্জনে আমেরিকার জেনারেল ইলেক্ট্রিস এর তৈরি একটি শক্তিশালী এফ-৪০৪-জিই-আইএন-২০ আফটার টার্বোফ্যান জেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.