--- বিজ্ঞাপন ---

এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাম্পব্যাক তিমির সাথে যোগাযোগ!

0

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালফোনিয়া ডেভিস এন্ড আলাস্কা হোয়েল ফাউন্ডেশন এর হোয়েল-এসইটিআই (সার্চ ফর এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স) হিসেবে পরিচিত একদল গবেষক, চলতি ২০২৩ সালের শুরুর দিকে প্রথম বারের মতো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি হাম্পব্যাক তিমির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। যদিও এই যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিমিদের নিজস্ব ভাষা বা শব্দ ব্যবহার করেন তারা।

মূলত আগে থেকে এক দল হাম্পব্যাক তিমিদের মধ্যে ‘কথোপকথন’ রেকর্ড করেন তারা। সেই রেকর্ডকৃত শব্দ বা কথোপকথন ব্যবহার করে ‘টোয়াইন’ নামের একটি হাম্পব্যাক তিমির সাথে ২০ মিনিট ব্যাপী যোগাযোগ করতে সক্ষম হন গবেষকেরা। আশ্চর্যের বিষয় হলো যে, এই হাম্পব্যাক তিমিটি রীতিমত অবাক করে দিয়ে গবেষকদের ডাকে সারা দিতে থাকে এবং সাগরের বুকে থাকা জাহাজের আশেপাশে ঘুরতে থাকে।

জানা গেছে, সাগরের বুকে বাস করলেও তিমি কিন্তু যথেষ্ট বুদ্ধিমান ও সামাজিক প্রাণী। মাথার অনুপাতে মস্তিস্কও বেশ বড় এবং উন্নত। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারলে ওদের বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য ও আচরণ আরো ভালোভাবে জানা যাবে। এমনকি ভবিষ্যতে হয়ত সুবিশাল মহাবিশ্বের গড়ে ওঠা কোন অতি উন্নত এলিয়েন সিভিলাইজেশনের সাথে যোগাযোগ করার নতুন পদ্ধতি বা কৌশল আয়ত্ত হতে পারে। তবে হতাশাজনক হলেও সত্য যে, অদূর ভবিষ্যতে মহাসাগরের বিশাল আকারের তিমির সাথে যোগাযোগ তৈরি করা সম্ভব হলে তা কিন্তু বাস্তবে ভালো কাজের চেয়ে আরো ভয়াবহ মন্দ কিছু হয়ে যাওয়ার মতো সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন সুযোগ পেলে পরাশক্তিধর দেশগুলো হয়ত শত্রু দেশের বিরুদ্ধে স্পাই কিংবা সামরিক কাজে ব্যবহার শুরু করে দিবে নিরীহ এই সামুদ্রিক প্রাণীটিকে।

বর্তমানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গোপনে নজরদারির কাজে এবং কিছু কমব্যাট মিশনে ব্যবহার করছে। এতে করে নিরীহ এই প্রাণীকে গুপ্তচর মনে করে প্রভাবশালী দেশগুলো নির্বিচারে নিধন শুরু করে দিলে খুব দ্রুত পৃথিবী থেকে হয়ত বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে স্তন্যপায়ী এই শান্ত সামুদ্রিক নীল তিমি।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.