--- বিজ্ঞাপন ---

চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

সোমবার চিন সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনদিন সেখানে থাকবেন তিনি। বৈঠক করবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। তাঁর এই সফরের উপর নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিশেষ নজর রাখছে ‘বন্ধু ভারতও। জানা গিয়েছে, হাসিনার এই সফরে ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর হবে ঢাকা ও বেজিংয়ের মধ্যে।

সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বেজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন তিনি বেজিংয়ে বিজনেস ফোরামে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেবেন। আগামী বুধবার চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন মুজিবকন্যা। বৈঠকে আর্থিক সহায়তা এবং নতুন প্রকল্পে অর্থায়নের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। পরে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আলোচনা করবেন জিনপিংয়ের সঙ্গে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর বই ‘আমার দেখা নয়া চিন-এর চিনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করবেন তিনি।

এদিকে রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ । তিনি বলেন. আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন। ১১ জুলাই দুপুরে তাঁর দেশে ফেরার কথা।  তিনি বলেন, আগামী বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে। সেখানে তাঁদের সঙ্গে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলও থাকবে। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল সংযোগ প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তা নিয়ে চীনের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিস্তা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের যৌথ নদী। তিস্তা নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ভারত একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তারা একটি কারিগরি দল পাঠাবে বলে আমাদের জানিয়েছে। বাংলাদেশে এসে ওই কারিগরি দল যৌথভাবে সমীক্ষা করে কী করা উচিত, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেবে। যেহেতু দুই দেশের যৌথ নদী এবং যাদের সঙ্গে যৌথ নদী, তাদের প্রস্তাব আছে, সুতরাং আমাদের সেই প্রস্তাব বিবেচনা করতে হবে। চীনও এ ক্ষেত্রে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি ভালো। যেহেতু ভারত প্রস্তাব দিয়েছে, আমরা মনে করি সেটি ভালো দিক। তারা (চীন) যদি আলোচনায় আনে, তাহলে তো আলোচনা হবে।’এই সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

সূত্র মতে, চিন এরই মধ্যে জানান দিয়েছে, আসন্ন সফরে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, রাজনৈতিক-পারস্পরিক বিশ্বাসকে দৃঢ় করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো এগিয়ে নিতে আরও গুছিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে তারা। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ও চিনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী রাজনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মতো পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করা হবে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সফরে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকে কেন্দ্র করে  তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সফরে ভারতের নজর থাকবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের ওপরেও। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। বার্তা দিয়েছিলেন ঢাকার সঙ্গে একযোগে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে কাজ করার। ##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.