--- বিজ্ঞাপন ---

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও ফাস্ট লেডিকে ব্যক্তিগত বিশেষ বিমান দিলেন সৌদি যুবরাজ সালমান

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, (২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ইং): জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের পথে দুদিনের সফরে সৌদি আরব যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সৌদি তেল স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক  হামলার পর দেশটিকে সংহতি জানাতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সৗদি আরবে যান ইমরান খান। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে সাথে রয়েছেন স্ত্রী অর্থাৎ সেদেশের ফাস্ট লেডি  আধ্যাত্বিক ধর্মীয় পীর হিসেবে পরিচিত বুশরা বিবি।

সাথে আরও ছিলেন জাতিসংঘে তার সফরসঙ্গী মন্ত্রীগণ। শনিবার ইমরান নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রাক্কালে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে উঠতে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।  সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাকে সেই ফ্লাইটে যেতে দেননি। বরং নিজের একখানা ব্যক্তিগত বিশেষ বিমানে চড়ে তিনি ও তার সফরসঙ্গীকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাত্রার ব্যবস্থা করেন। এসময় যুবরাজ  সালমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার বিশেষ মেহমান উল্লেখ করে বলেন, তার দেশে  সফরে আসা

মেহমানকে তিনি এভাবে যেতে দিতে পারেন না।শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ফাস্ট লেডি বুশরা বিবির জন্যও তার আরেক খানা বিমান দেন যাতে তিনি পাকিস্তান ফিরতে পারেন।  সৌদি আরবের বাদশার পরই সবচাইতে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হচ্ছেন  যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান । পাকিস্তানের ইংরেজী দৈনিক পাকিস্তান টুডে পত্রিকা এ খবর দেয়।

এদিকে, সৌদি আরবের তেল স্থাপনায়  হামলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রিয়াদ ইরানকে দায়ী করে সেখানে এখন চলছে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছে। ঠিক তখনই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এ সফর  বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা। অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সাথে যুদ্ধেও লিপ্ত হতে পারে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলি। পাকিস্তান সাম্প্রতিককালে ইয়েমেনের সাথে সৌদি জোটে সৈন্য না পাঠিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছিল। প্রতিবেশী ইরানের সাথে তার সীমান্ত রয়েছে।

এক্ষেত্রে ইসলামাবাদের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে খোদ পাকিস্তানেও জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে।  অতীতে ইয়েমেনের সাথে বর্তমান চলমান যুদ্ধে পাকিস্তানের কাছে সৈন্য চেয়েছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ জোটভুক্ত দেশগুলি। ইমরান খানের আগের নওয়াজ শরীফ সরকার ইরানকে ক্ষেপিয়ে সেনা পাঠাতে রাজী হয়নি। উল্টো সেদেশের পার্লামেন্টের তৎকালীন স্পিকার রাজা রাব্বানী পাকিস্তান সেনা যাতে ইয়েমেনের যুদ্ধে অংশ না নেয় সেজন্য সংসদে  নিষেধাজ্ঞা  বিল পাস করান। এতে জোটের প্রধান দুটি দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানের উপর ক্ষুদ্ধ হয়। আরব দেশগুলোর সাথে এ নিয়ে গত কয়েক বছর পাকিস্তানের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিলনা। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর স¤পর্কে আবার নতুন দিক উম্মোচন  হতে যাচ্ছে বলে ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে।

## শহীদ, ২৩.০৯.২০১৯ ইং।

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.