‘মুসলমানদের অত্যাচার বন্ধ করার পরিবর্তে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আসন্ন নির্বাচনে ভোট বাড়াতে আমাকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু করেছেন। আমরা সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যাচারকারীদের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না।’ নেতানিয়াহুকে ‘শিশুদের হত্যাকারী’ ও ‘নির্যাতনকারী’ আখ্যায়িত করে আঙ্কারার পারসাকলার জেলার একটি নির্বাচনী সমাবেশে এরদোগান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও জেরুসালেমের মর্যাদার জন্য আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।
বেশ কিছুদিন দিন ধরে তুরস্ক ও ইসরাইলের নেতাদের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে। মঙ্গলবার এরদোগানকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসাবে অভিহিত করে সরকারি টুইটার একাউন্টে নেতানিয়াহুর দেয়া একটি পোস্টের পর সেই তিক্ততা আবারও বেড়ে গিয়েছে। উভয় দেশই ভোটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের প্রদেশগুলোতে স্থানীয় নির্বাচন ৩১ মার্চ এবং ইসরাইলের সাধারণ নির্বাচন ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ পরিচালক বুধবার তুর্কি নেতাকে লক্ষ্য করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বুধবার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালীন বলেন, আরব ও মুসলমানদের প্রতি ইসরাইলি নেতাদের বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার কারণে এরদোগানকে আক্রমণ করেছেন নেতানিয়াহু। অথচ বর্ণবাদী রাষ্ট্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে, নারী ও শিশুকে হত্যা করে এবং ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের নিজের দেশে বন্দী করে। মিথ্যাচার ও চাপ প্রয়োগ করে আপনার অপরাধ গোপন করা যাবে না।’