আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমিন সাংবাদিকদের জানান, গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনার পরপরই ওই ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়। এছাড়া মরদেহ গ্রহণের জন্য নিহত বাংলাদেশিদের পরিবারের একজন সদস্যকে সেখানে নেবে নিউজিল্যান্ড সরকার। তারা স্বজনের মরদেহ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত গত শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে ঢুকে সেমি অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে এক অস্ট্রেলীয় যুবক। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমিন। আহতদের মধ্যে গাজীপুরের মুতাসিম এবং শেখ হাসান রুবেল এখন আশঙ্কমুক্ত। তবে কিশোরগঞ্জের লিপির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
নিহত পাঁচজন হলেন : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবদুস সামাদ, সিলেটের ফরিদ উদ্দীন আহমেদের স্ত্রী হুসনে আরা আহমেদ, চাঁদপুরের মোজাম্মেল হক, নরসিংদীর পলাশের জাকারিয়া ভূঁইয়া এবং নারায়ণগঞ্জের মোহাম্মদ ওমর ফারুক। অধ্যাপক সামাদকে তার পরিবার ক্রাইস্টচার্চেই দাফন করা হবে।
বাকিদের পরিবারের একজন সদস্যকে নিউজিল্যান্ডে নেওয়ার জন্য ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনসুলার ও ওয়েলফেয়ার উইংয়ের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ বিন কাশেমকে ফোকাল পয়েন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য 01713111227 ফোন নম্বর এবং aswelfare@mofa.gov.bd ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।