স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও দেশের মানুষকে ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। কিন্তু এটা আমরা আশা করিনি। এবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করা হবে।
ড. কামাল বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণকে সংগঠিত করে সব কিছু অর্জন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। অথচ সেই গণতন্ত্রই এ দেশে অনুপস্থিত। এমন অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না।
এ সময় তিনি বলেন, সংবিধানের ১৬ আনা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। ১৬ আনা মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সংবিধানে ঘোষিত মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে একতাবদ্ধ হলে তবেই ১৬ আনা মুক্তি আসবে। তিনি বলেন, সংবিধানে স্বাধীনতার লক্ষ্য সম্পর্কে বলা আছে। জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। এ মালিকানা থেকে যদি কেউ তাদের বঞ্চিত করে, তবে তারা সংবিধানবিরোধী কাজ করছে, স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করছে। কেউ যেন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
ড. কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বলতেন, ঐক্য ধরে রাখতে হবে। তার অসাধারণ নেতৃত্বেই জাতি একতা ধরে রাখতে পেরেছিল। আওয়ামী লীগ বর্তমানে বাকশাল ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে যে অভিযোগ বিএনপি নেতারা করেন- সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. কামাল বলেন, একনায়কতন্ত্র যেন না আসে সেটাই ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা তো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা লিখেছিলাম। তিনি বলেন, ১৬ আনা মুক্তি পেতে গেলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ও শাসন ব্যবস্থা কার্যকর ও বাস্তবে রূপ দিতে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ঐক্যফ্রন্টের এ শীর্ষ নেতা বলেন, জনগণের ঐক্য হলো সব শক্তির ভিত। সেই শক্তি থেকে যারা আমাদের বঞ্চিত করতে চায়, তারা জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। এই জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণকে সংগঠিত হয়ে সব কিছু অর্জন করতে হবে। গণতন্ত্র সুসংগঠিত করতে ইলেকশন হয়, কিন্তু আমরা নির্ভেজাল ইলেকশন পাচ্ছি না।