স্বপ্নের শীর্ষস্থানে পৌঁছেতে মাঠে নামবে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। সেমি ফাইনালে উঠতে হলে এই ম্যাচে অবশ্যই জয়লাভ করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। শুধু তাই নয় পরদিন লেস্টারে তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে। একদিন পরই লর্ডসে পাকিস্তানকেও হারাতে হবে টাইগারদের। এই তিনটি শর্ত মেলাতে পারলেই কেবল সম্ভব বিশ্বকাপের সেরা চারে খেলা। এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ শুরুর আগে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বললেন, ‘অন্যদের দিকে তাকিয়ে থেকে তো কোনো লাভ নেই।

যে ম্যাচগুলো জিতেছি, ভালো খেলেই জিতেছি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও জিততে গেলে ভালো খেলেই জিততে হবে।’‘আসলে অন্যদের দিকে তাকিয়ে এই ধরণের টুর্নামেন্টে আমি মনে করি না লাভ আছে। কালকে (মলঙ্গলবার) হারলে আমাদের বিশ্বকাপ শেষ। তবে গতকাল (সোমবার) ইংল্যান্ড হারলে হয়ত ভিন্ন কিছু হত। আমি ইতিবাচকভাবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি, কাল যদি আমরা জিততে পারি সেটা হবে আরও আনন্দের। তাই মনে করি কঠিন অবস্থাই বেটার দলের জন্য এবং দলকে সামনের ধাপে নেয়ার জন্য।

ভারতের বিপক্ষে সম্ভাব্য বাংলাদেশ একাদশ

এ ম্যাচে জয় ভিন্ন কোনো পথ খোলা নেই টাইগারদের সামনে। সেই লক্ষ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলানো একাদশ ধরে রাখতে পারে তারা।

তবে ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল ঘটতে পারে। আফগানদের বিপক্ষে তামিমের ওপেনিং সঙ্গী হয়েছিলেন লিটন। তবে সফল হননি তিনি। ফলে মিডলঅর্ডারে নেমে যেতে পারেন এ হার্ডহিটার। আর ওপেনিংয়ে উঠে আসতে পারেন সৌম্য। সবশেষ ম্যাচে ইনিংসের মাঝপথে সফল হননি তিনি। সুতরাং জায়গা অদলবদল করতে হতে পারে লিটন-সৌম্যকে।

ওয়ানডাউনে যথারীতি নামবেন সাকিব। এবারের বিশ্বকাপে আগুনে ফর্মে আছেন তিনি। ইতিমধ্যে টুর্নামেন্টে ৪৭৬ রান ও ১০ উইকেট শিকার করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সাফল্যের নায়ক সাকিব হলে পার্শ্বনায়ক মুশফিক। এখন পর্যন্ত ৩২৭ রান করে দলের জয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন তিনি। চার নাম্বারে নামবেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

ফর্মটা খারাপ যাচ্ছে না মাহমুদউল্লাহর। মিডলঅর্ডারে ব্যাটিং স্তম্ভ তিনি। যদিও ভারতের বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কাফ-মাসলের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। তবে পড়শীদের সঙ্গে খেলা গড়ানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। খেললে পঞ্চম স্থানে নামবেন মিস্টার কুল।

ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে খেলবেন লিটন ও মোসাদ্দেক। এ দুই ব্যাটিং পজিশনে বেশ সফল তারা। পরে ক্রিজে আসবেন যথাক্রমে সাইফউদ্দিন, মিরাজ, মাশরাফী ও মোস্তাফিজুর। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী হলেও দুশ্চিন্তা বোলিং আক্রমণ ঘিরে। এখন পর্যন্ত সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি পেস অ্যাটাক ত্রয়ী- সাইফ, মাশরাফী ও মোস্তাফিজ। আসরে ৬ এর উপরে রান দিয়েছেন তারা।

খুব একটা সফল নন মিরাজও। তদুপরি সাকিবের সঙ্গে তাকেই স্পিন আক্রমণের দায়িত্ব নিতে হবে। পার্টটাইমার হিসেবে সমর্থন জোগাবেন মোসাদ্দেক।
Comments (০)
Add Comment