ড্রোন হামলায় সৌদি আরবের অর্ধেক তেল উৎপাদন বন্ধ: ইরান দায়ী-যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, (১৫ সেপ্টেম্বর,২০১৯ ইং): বিশ্বের বৃহত্তম তেল শোধনাগারে  ড্রোন হামলায় বন্ধ হয়ে গেছে সৌদি আরবের প্রায় অর্ধেক তেল উৎপাদন। সৌদি আরবের তেল সরবরাহের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল মহলের বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা সিএনএন এখবর দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবী থেকে সিএনএন বিজনেস আরও জানায়, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তবে বিবিসি জানায়, তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পিউ বলেছেন তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে এ ঘটনা ইরানই করেছে।

হুতি বিদ্রোহীদের বার্তা মাধ্যম আল মাশিরাহ এ হামলার দায়দায়িত্ব হুতি বিদ্রোহীরা স্বীকার করেছে জানিয়ে হামলাটির বর্ণনা দেয়। এতে বলা হয় ১০টি ড্রোন সৌদি আরবের  আবকাইক ও খুরাইশ এলাকায় সৌদি রাষ্ট্রীয় তেল স্থাপনা আরামকোতে আঘাত হানে। এতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল স্থাপনায় আগুন ধরে যায়। এর ফলে দৈনিক ৫০ লক্ষ ব্যারেল ক্রুড জ্বালানি তেল উৎপাদন  বন্ধ হয়ে যায়।

বার্তা সংস্থার জানায়, আগস্ট মাসের সৌদি আরবে ওপেকের তেল উৎপাদনের হিসাবে দেশটি দৈনিক ৯৮ লক্ষ ব্যারেল ক্রুড তেল উৎপাদন করে। ড্রোন হামলার ঘটনাটি সৌদি আরবের আভ্যন্তরীন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানায়,তেল স্থাপনার দুটি স্থানে ক্ষতি হয়েছে। টুইটারে বার্তায় সৌদি মন্ত্রণালয় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং সেদেশের কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায়  বার্তা সংস্থাকে মার্কিন কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সেন্টার অন গ্লোবাল এনার্জি-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জেসন বোর্দফ জানান,‘ আবকাইক হচ্ছে বিশ্বে জ্বালানি তেল সরবরাহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, এ হামলার ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে।’

সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারক। দেশটি বিশ্ব বাজারের দৈনিক শতকরা দশভাগ তেল সরবরাহ করে থাকে।

এদিকে অয়েল প্রাইস ডট কম বার্তা সংস্থার  সাংবাদিক মাইকেল কার্ন এর মতে, এ হামলার ফলে সৌদি আরবের অর্ধেক তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তেলের মূল্য ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

এএফপি বার্তা সংস্থা সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মনসুর আল তুর্কির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ঐ হামলায় কোন প্রাণহানি হয়নি।

## শহীদ, ১৫.০৯.২০১৯ ইং।

Comments (০)
Add Comment