সৌদি আরবে যাচ্ছে মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও সৈন্য –পেন্টাগন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ইং): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন সৌদি আরবে নতুন সম্ভাব্য যে কোন বিমান কিংবা ড্রোন হামলা ঠেকাতে প্রেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। সাথে থাকছে ৪ টি রাডার ব্যবস্থা এবং এসঙ্গে ২০০ সেনার দল।এই ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাডার ব্যবস্থা সৌদি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করবে বলে বার্তা সংস্থাসমূহের খবরে জানা গেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক ড্রোন হামলায় সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের দুটি তেল শোধনাগারের প্রচুর ক্ষতি হয়।এর ফলে বিশ্বের এই প্রধান তেল রফতানিকারক দেশটির প্রায় অর্ধেক তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বে জ্বালানি তেলের বাজারে সংকটের সৃষ্টি হয়। ইয়েমেনে যুদ্ধরত হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করে বিবৃতি দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব এর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে ইরানকে দায়ী করছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে সৌদি আরবে রাডার ও পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রেরণকে সেদেশের বিমান ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে জানিয়েছে। বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা দপ্তর আরও জানায় যে, ভবিষ্যতের যে কোন সংকটময় মুহুতে দ্রুত মোতায়েনের জন্য আরও মার্কিন সামরিক সহায়তা সেখানে প্রেরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পেন্টাগণের মুখপাত্র জনাথন হোপম্যান জানান, আরও ২ টি অতিরিক্ত প্রেট্রিয়ট ব্যাটারী, আরও আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে যখনই প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিক প্রেরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা জানায়, ওয়াশিংটন ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ কোন সুনিদ্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই ইরানকে সৌদি হামলার জন্য দায়ী করে আসছে।ইয়েমেনের হুতি আনছারুল্লাহ দল গত কয়েক মাস ধরে সৌদি জোট কর্তৃক ইয়েমেনে নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদস্বরুপ জবাবে সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর ১০টি ড্রোনের সাহায্যে সৌদি আরবের আরামকোর তেল ক্ষেত্র খুরাইশ ও আবকাইকের  ঘটনায় হুতি বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনা চরমে পৌঁছে। এ হামলায়  সৌদি আরবের দৈনিক তেল উৎপাদন অর্ধেকেরও বেশী অর্থাৎ ৫৭ লক্ষ ব্যারেলের মত কমে যায়।
## শহীদ, ২৭.০৯.২০১৯ ইং।

Comments (০)
Add Comment