সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে নারী অপহরণের অভিযোগ

এবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে নারী অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
ওই নারী আর কেউ নন, তার চাচাতো বোন রাজকুমারী বাসমাহ বিনতে সৌদ বিন আব্দুলআজিজ। যুবরাজের নির্দেশেই ওই নারীকে অপহরণ করা হয়েছে এবং অপহরণের পর তাকে সৌদি আরবের এক কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এক বিদেশ পত্রিকার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম পার্স টুডে।

যুবরাজ সালমান এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজপরিবারে নিজের সমালোচকদের বিরুদ্ধে যে ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছিলেন তখন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন প্রিন্সেস বাসমাহ।

স্পেন থেকে প্রকাশিত ‘এবিসি’পত্রিকা জানায়, রাজ পরিবারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত নারীবাদী আন্দোলনকারী বাসমাহকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অপহরণ করা হয়। এরপর থেকে তিনি সৌদি আরবের আল-হায়ার কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

পত্রিকাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে যা দৃশ্যত জেদ্দায় বাসমাহ’র প্রাসাদের একটি লিফটের বাইরে বসানো ছিল। ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ধারণকৃত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আটজন পুরুষের একটি দল বাসমাহ’র প্রাসাদে হানা দিয়েছে এবং তারা সিসিটিভি ক্যামেরার অস্তিত্ব টের পেয়ে এসব ক্যামেরা ঢেকে ফেলার বা অকার্যকর করে ফেলার চেষ্টা করছে।

পত্রিকাটি বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে রাজকুমারী বাসমাহকে আল-হায়ার কারাগারের ১০৮ নম্বর সেলে আটক রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সপ্তাহে একবার তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে তাকে কবে মুক্তি দেয়া হতে পারে সে বিষয়ে কিছুই জানেরন না তার পরিবারের সদস্যরা।

৫৬ বছর বয়সি রাজকুমারী বাসমাহ তার মেয়েকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন বলে সন্দেহ হওয়ায় যুবরাজ সালমান তাকে অপহরণ করেন।

তবে বাসমাহ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে দাবি করেছে ওই পত্রিকা।

এর আগে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সৌদি দূতাবাসের অভ্যন্তরে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হন। পরে জানা যায়, যুবরাজ সালমানের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে এই হত্যার দায় স্বীকার করলেও, এ ঘটনার সঙ্গে সৌদি যুবরাজের যুক্ত থাকার অভিযোগ মেনে নেয়নি রিয়াদ।
#পার্স টুডে

Comments (০)
Add Comment