করোনা ভাইরাস নিয়ে ট্রাম্পকে দুষছে আমেরিকাবাসি

কমন ড্রিমস (Common Dreams) নামের ওই ওয়েব পোর্টাল লিখেছে, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার লোকজন ইরানকে যুদ্ধে উসকানি দেয়া এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জনমত নিয়ে গবেষণা করতে এত বেশি ব্যস্ত ছিলেন যে, কখন যে আমেরিকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তারা তা টেরও পাননি। অথচ চীন থেকে বিভিন্ন দেশ হয়ে আমেরিকা পর্যন্ত এই ভাইরাস আসার আগে তাদের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল।’

কমন ড্রিমস আরো লিখেছে, ‘এ কারণে মহামাররি আকারে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসকেও ট্রাম্প রাজনৈতিক মাপকাঠি দিয়ে পরিমাপ করেছেন। প্রথমে তিনি করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব না দিয়ে আমেরিকায় এটির ছড়িয়ে পড়ার খবরকে ‘ডেমোক্রেটদের প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করেন। এরপর তিনি যখন পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করেন তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।’

মার্কিন ওয়েব পোর্টালটির বিশ্লেষণে আরো বলা হয়েছে, ‘ততদিনে আমেরিকার অবস্থা এতটা নাজুক হয়ে গেছে যে, করোনাভাইরাস বিরোধী লড়াইয়ের সামনের সারির যোদ্ধা- নার্সরা মাস্কের পরিবর্তে ওড়না দিয়ে নাক-মুখ বেঁধে রোগীর সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন। আমেরিকায় যখন সামান্য মাস্কের এত অভাব তখন আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে হত্যার জন্য আমাদের অস্ত্রাগারের রয়েছে ৫০০ পাউন্ড ও এক হাজার পাউন্ডের অসংখ্য বোমা।’

‘করোনা মোকাবিলায় আমেরিকার অবস্থা এখন এতটাই শোচনীয় যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি করা মাস্ক বারবার ব্যবহার করার জন্য হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

এভাবেই ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছে কমন ড্রিমস নামের পোর্টালটি।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সোমবারও দেশটিতে নতুন করে আরও ২৪১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ১৪৫ জন। সোমবার আরও ২৯ জন মারা যাওয়ার পর দেশটিতে করোনায় মোট মারা গেছেন ৫৪২ জন।

বিশ্বের করোনা মহামারিতে আক্রান্ত ভয়াবহতম ৩ দেশের একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ওপরে রয়েছে চীন ও ইতালি।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ফেব্রুয়ারি নাগাদ এটি বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের মোট ৩ লাখ ৮২ হাজার ১২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে এতে মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ১৬৫৬৮ জন। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে এই সংখ্যা।সূত্র: পার্স টুডে

Comments (০)
Add Comment