কায়রোর রাবা স্কয়ার গণহত্যার সপ্তম বার্ষিকী শুক্রবার। সাত বছর আগে এ দিনটিতে মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকরা সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন প্রতিবাদ জানাতে। কিন্তু জোর করে ক্ষমতাহরণকারীরা সে প্রতিবাদ সমাবেশের ইতি ঘটেছিলেন মারাত্মক অভিযানে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, সেদিন মিসরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন অন্তত ৮১৭ জন বিক্ষোভকারী। এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ ও আধুনিক ইতিহাসে এক দিনে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ হত্যাযজ্ঞ হিসেবে বর্ণনা করেছে সংস্থাটি। বিরোধীরা বলছেন, মৃতের এ সংখ্যা প্রায় ২ হাজার।
মানবাধিকার গ্রুপগুলো, সমর্থক ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এ ঘটনার বিচার চাইলেও এ ব্যাপারে কোনোই উদ্যোগ নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনার পর থেকে ক্ষমতাহরণকারীরা যেকোনো বিক্ষোভকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করায় এ বিচার পাওয়া সুদূরপরাহত।
সে বছর এক বিবৃতিতে সিসি বলেছিলেন, বিক্ষোভের বিষয়টি সরকার আগেই বুঝতে পেরেছিল। তাই তারা এর জন্য ‘প্রস্তুত ছিল’। এবং এ জন্য পরিকল্পিতভাবেই বিক্ষোভকারীদের হত্যা করা হয়েছে।
সে বছরই মিসরীয় পার্লামেন্ট একটি আইন পাস করে, যেখানে বলা হয়েছে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ৮ জুন পর্যন্ত সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিচার থেকে সেনা কমান্ডাররা অব্যাহিত পাবেন।
এই উদ্যোগ বর্তমান শাসকরা বিক্ষোভকারীদের হত্যার দায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ও তার কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিচার করবে সে আশাকে হত্যা করেছে।
তারপরও ক্ষুদ্র আশা নিয়েই চাওয়া হচ্ছে এর বিচার।
# ইয়েনি সাফাক