বাইডেন আমলে ভারতের সাথে আমেরিকার সামরিক সম্পর্ক তুঙ্গে থাকবে

ভারতই হবে আমেরিকার প্রধান সামরিক অংশীদার। জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগে‌ এই ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। ভারতের সঙ্গে সামরিক, স্ট্র্যাটেজিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চলেছে নবনির্বাচিত মার্কিন সরকার। জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকার শপথ নেওয়ার প্রাক্কালে বুধবার সেনেট আর্মড সার্ভিসের সদস্যদের এক বৈঠকে বাইডেন সরকারের প্রতিরক্ষা সচিব পদে আসীন হতে চলা লয়েড অস্টিন বলেছেন, আমাদের অন্যতম লক্ষ্যই হতে চলেছে ভারতকে আমাদের সামরিক অংশীদার করে তোলা। ভারতই হবে নতুন মার্কিন সরকারের বৃহত্তম সামরিক অংশীদার।
ভারতের সঙ্গে বাইডেন সরকার যে সম্পূর্ণ শর্তহীন এক মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইছে তার প্রমাণ দিতে প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন তাঁর পদে আনুষ্ঠানিকভাবে আসীন হওয়ার আগেই পাকিস্তানকে নিশানা করে কখনও লস্কর কখনও পুলওয়ামা আক্রমণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। বিশেষ করে কোয়াড সিকিউরিটি বৈঠকে ভারতের সহযোগিতা এবং সংযুক্তি আরও বেশি করে যাতে আসে সেই প্রয়াস করবে বাইডেন সরকার। আমেরিকার পাকিস্তান নীতিতে যে বদল আসবে সেই আভাসও দিয়েছেন নতুন প্রতিরক্ষা সচিব। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই ইতিবাচক কাজ করেছে। আফগানিস্তানে শান্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমেরিকা ও তালিবানদের মধ্যে যে একাধিক বৈঠক হয়েছে সেই শান্তিপ্রক্রিয়ায় পাকিস্তানকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলেছিল আমেরিকা। অস্টিন মনে করেন সেই কাজটি পাকিস্তান করছে। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার যে সন্ত্রাসবাদী দলগুলি চক্রান্ত করে চলেছে, পাকিস্তানের মাটিতে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় না দিয়ে লস্কর ই তৈবা, জয়েশ ই মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের যে দায়িত্ব পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি এখনও অসম্পূর্ণ আছে বলেই মনে করছেন নয়া প্রতিরক্ষা সচিব। তিনি বলেছেন, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক সহযোগিতাসহ একাধিক সমীকরণে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তিনি প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে আগামীদিনে পাকিস্তানকে চাপ দেবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, জঙ্গি আর সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘাঁটি হিসেবে পাকিস্তানকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এটা ইসলামাবাদকেও বুঝতে হবে। পাকিস্তানের স্বার্থেই ইমরান প্রশাসনের দরকার সন্ত্রাসবাদ ভুলে আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলা। আর সেটা যদি সম্ভব হয়, তাহলে পাকিস্তান সেনাকেও প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ সহায়তা দেবে মার্কিন সরকার। কিন্তু সর্বাগ্রে শর্ত হল পাকিস্তানকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে নিজেদের। তারা যদি একটানা এরপরও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে মদত দিয়েই চলে, তাহলে মার্কিন সহায়তা পাওয়া মুশকিল। প্রসঙ্গত, বাইডেন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা টিমের অন্যতম চালিকাশক্তি বস্তুত ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই। তরুণ ছাব্রাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টেকনোলজি অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটির আর সুমনা গুহ হয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর। সূত্রঃ বর্তমান

আমেরিকা - ভারত সম্পর্কআমেরিকা-ভারত সামরিক সম্পর্কভারতের সামরিক শক্তি
Comments (০)
Add Comment