রাশিয়ার কৃষ্ণ ব্লাক সি প্রধান নৌ ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

নৌ দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম #

রাশিয়া সেদেশের নৌবাহিনী দিবস উদযাপন করছিল  গত ৩১ জুলাই। এসময় রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ার সিভাস্তোপোলে অবস্থিত রুশ কৃষ্ণ সাগরের ব্ল্যাক সী ফ্লিট নৌ সদর দপ্তরে বিস্ফোরক ভর্তী আত্নঘাতি ড্রোন আঘাত হানে। যদিও এটি কম শক্তিশালী বিস্ফোরকে সজ্জিত ছিল। এবং এতে কেউ নিহত হয়নি। রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানায় কাঁচের টুকরার আঘাতে ৬ জন বেসামরিক কর্মচারী আহত হয়েছে। ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপল গভর্নর মিহেল রাজভোজায়েভ তৎক্ষনাত নৌ বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানমালা বাতিল করে জনসাধারনকে ঘরের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেন। স্থানীয় মেয়র এই হামলার জন্য “ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীদের” দায়ী করেছেন ।
রুশ সংবাদ মাধ্যম রিয়া নভোস্তি ঘটনার বর্ণনায় জানায়, ড্রোনটিতে কম শক্তিসম্পন্ন বিস্ফোরক ছিল, এতে কেউ নিহত না হলেও বিক্ষিপ্ত কাঁচের টুকরোর আঘাতে পাঁচজন আহত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা তাস সংবাদের সত্যতা স্বীকার করে জানায় যে, ড্রোনটি “সম্ভবত ইউক্রেনের দিক থেকে এসেছে।”
সামরিক পর্যবেক্ষকরা এই ড্রোন হামলাকে সম্ভবত: রুশ দখলকৃত এই ক্রিমিয়া অঞ্চল থেকে রুশদের বিতাড়ণে স্বাধীনতাকামী ইউক্রেনিয়ানদের কাজ বলে ধারণা করছেন। ইউক্রেনের প্রচার মাধ্যমে এ ঘটনাকে রুশদের উস্কানিমূলক অজুহাত এবং নতুন কোন হামলার পাঁয়তারা বলে বলা হ্চ্ছে। ক্রিমিয়ার কৃষ্ণ সাগরের এই ক্রিমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়া ২০১৪ সালে দখল করে নেয়। বর্তমানে সেখানে রাশিয়ার ব্ল্যাক সী ফ্লিট নৌ সদর দপ্তর অবস্থিত।
২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ান সৈন্যদের পূর্বে সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দেন। সেইসাথে বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে ট্যাংক প্রবেশ করে। যদিও রাশিয়া এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে আগ্রাসনকে একটি “যুদ্ধ” হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি, যদিও এটি একটি “বিশেষ সামরিক অভিযান” বলে দাবি করে।#

Comments (০)
Add Comment