-- বিজ্ঞাপন ---

ওমরাহ যাত্রীদের ভ্রমণ কর প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সুজনের

0

পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাওয়া যাত্রীদের ওপর ভ্রমণ কর প্রত্যাহারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করলেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। রবিবার (৩০ জুলাই ২০২৩ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওমরাহ যাত্রীদের ভ্রমণ কর প্রত্যাহারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এসময় সুজন বলেন বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করে থাকেন। করোনা মহামারী পরবর্তী সময় এবং বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ওমরাহ পালনের খরচ অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সৌদি আরব ওমরাহ পালনে বিভিন্ন শর্তের পাশাপাশি নানাবিধ কর আরোপ করছে। এতে করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের ওমরাহ পালনের খরচ আগের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে হজ প্যাকেজের খরচ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় অনেক মুসলমান ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে হজ পালন করতে পারছেন না। অনেকে সাশ্রয়ী মূল্যে ওমরাহ পালন করতে যান। কিন্তু ওমরাহ যাত্রীদের ওপর ভ্রমণ কর আরোপের কারণে তাদের ওপর আর্থিক চাপ আরও বেড়ে যাবে। এতে করে বেশির ভাগ মুসলমানদের ওমরাহ পালন বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি আরো বলেন সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিভিন্ন ধরণের দুষ্টুচক্র ষড়যন্ত্র করছে। ওমরাহ যাত্রীদের উপর ভ্রমণ কর আরোপ সেরকম একটি দুষ্টুচক্রের কাজ বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশের অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান সারা জীবনের অর্জিত সঞ্চয় দিয়ে অন্তত একবার হলেও আল্লাহর ঘরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করে থাকেন। কিন্তু ভ্রমণ কর আরোপের ফলে তাদের জন্য ওমরাহ পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে। এখানে উল্লেখ্য যে ওমরাহ পালন কোনো ব্যবসায়িক কিংবা ভ্রমণমূলক কাজ নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে একটি ধর্মীয় কাজ। তাই এখানে ভ্রমণ কর আরোপ করা কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয় বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। এক্ষেত্রে মাননীয় অর্থ মন্ত্রী এবং ধর্ম মন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন তিনি। ইতিপূর্বেও ওমরাহ যাত্রীদের উপর আরোপ করা ভ্রমণ কর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রহিত করা হয়। তাই এবারও ওমরাহ যাত্রীদের উপর আরোপ করা ভ্রমণ কর রহিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সুজন আরো বলেন ওমরাহ ফ্লাইটের টিকেট প্রদানের ক্ষেত্রেও চট্টগ্রামের যাত্রীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। অধিকাংশ ফ্লাইটের টিকেট ঢাকার এজেন্সীদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবগামী বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ওমরাহ যাত্রীদের সিটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানান। তাছাড়া দেখা যাচ্ছে যে বিমান যে দামে ওমরাহের টিকেট দেওয়ার কথা ছিল সে দামে ওমরাহের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। ফলত যাত্রীদের বাধ্য হয়েই বেশি দামে টিকেট ক্রয় করে ওমরাহ পালন করতে যেতে হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ হাজী ওমরাহ পালন করতে যায় তাদের থেকে ভ্রমণ কর আদায় করলেও সরকারের উল্লেখযোগ্য তেমন কোন আয় হবে না। উপরন্তু এসব বিষয়গুলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সরকারকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিকট অজনপ্রিয় করে উপস্থাপনের জন্য এ সিদ্ধান্ত সরকার বিরোধী চক্রের আরেকটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন খোরশেদ আলম সুজন।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.