-- বিজ্ঞাপন ---

আগাম ভোটে সুখবর পেলেন কমলা হ্যারিস

0

আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোটপর্বের মাঝে ‘সুখবর’ পেলেন ডোমাক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন কমলা।

আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলেও রবিবার থেকে আমেরিকায় শুরু হয়েছে আগাম ভোটপর্ব। শুক্রবার পর্যন্ত সে দেশের প্রায় ছ’কোটি ভোটদাতা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমেরিকায় ভোট দেওয়ার যোগ্য নাগরিকের সংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এ বারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৬ শতাংশ, যা ছিল গত এক শতকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সে বার আগাম ভোট পড়েছিল প্রায় ১০ কোটি।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের অনুগামীদের দাবি, আগাম ভোটে এই উৎসাহে সুবিধা পাবেন তাঁরাই। যদিও আগাম ভোট চলাকালীনই কয়েকটি জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, তাঁকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। আগাম ভোট নিয়ে এবিসি নিউজ়-ইপসোস, নিউইয়র্ক টাইমস-সিয়েনা কলেজ এবং সিএনএনের জনমত সমীক্ষার নির্যাস— ট্রাম্পের চেয়ে ১৯ বা তার বেশি পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে কমলা। তবে ইতিহাস বলছে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পই বাজিমাত করেছিলেন।

কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম প্রভাবশালী এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকেই তাকে মনে করেন এক যুগান্তকারী ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি আগাম ভোটে তার জন্য সুখবর এসেছে, যা তার রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও মজবুত করছে। আগাম ভোটে এমন ইতিবাচক ফলাফল তার সমর্থন বৃদ্ধির প্রমাণ দেয় এবং আগামী নির্বাচনেও তার দলের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

কমলা হ্যারিসের সাহসিকতা, দৃঢ় মনোবল এবং নেতৃত্বের গুণ তাকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, বরং বিশ্বমঞ্চেও একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। তার রাজনৈতিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় মানসিকতা।

প্রসঙ্গত, আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের প্রতিটিতেই নিজস্ব ভোটিং পদ্ধতি রয়েছে। পোস্টের মাধ্যমে ব্যালট সংগ্রহ এবং পোলিং স্টেশনে সশরীরে গিয়ে আগাম নির্বাচনের দিন ভোটদানের ব্যবস্থা রয়েছে বিভিন্ন প্রদেশে। কোনও কোনও প্রদেশে এক সঙ্গে তিনটি পদ্ধতিই প্রচলিত। এ বারের ভোটে ‘নির্ণায়ক’ সাতটি প্রদেশের মধ্যে ছ’টিতে কমলা এগিয়ে রয়েছেন বলেও আগাম ভোটপর্বের সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে।##সূত্রঃ আনন্দবাজার

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.