-- বিজ্ঞাপন ---

রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মাদক ব্যবসা জমজমাট

0

এন.এইচ নিরব :  কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, এই দুই উপজেলার ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে ইয়াবা সেবন ও বিক্রির আস্তানা রয়েছে পাঁচ শতাধিক।

গত দুই বছরে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গাশিবিরে মাদকসেবন ও বিক্রির পাঁচ শতাধিক আস্তানা গড়ে উঠেছে। ইয়াবা মজুতের জন্যও এসব আস্তানা ব্যবহূত হচ্ছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, তাদের তৈরি ইয়াবা কারবারির তালিকায় ১৩ জন রোহিঙ্গার নাম রয়েছে। তবে এ তালিকায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যাই বেশি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের চালান এসব আস্তানায় নিয়ে আসে রোহিঙ্গা পুরুষরা। পরে এখান থেকে ওই মাদকদ্রব্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয় রোহিঙ্গা নারীরা।

মাদকবহনকারী থেকে ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছে ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসকারী অনেক রোহিঙ্গা।ইয়াবাসহ তাদের আটকের ঘটনাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২২ আগস্ট ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার উলুবনিয়াসংলগ্ন নাফ নদের তীরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসার সময় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুজনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। নিহতরা হলো- উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সাকের (২২) ও টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা শিবিরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নূরুল আলম (৩০)।

গত দুই মাসে উখিয়া-টেকনাফে ছয়জন রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে আরো জানা যায়,
গত তিন বছরের (২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রোহিঙ্গারা আসার পর কক্সবাজার জেলায় ইয়াবার চালান জব্দের ঘটনা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে মাদকের মামলা ও আসামি গ্রেপ্তারের সংখ্যাও। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক বছরের তুলনায় পরের বছর দ্বিগুণ পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার বা দ্বিগুণসংখ্যক মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। কেবল গত দুই মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৫০ জনের বেশি রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে সাতজনকে র‍্যাব, ১৩ জনকে পুলিশ, ১২ জনকে বিজিবি, আটজনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া রোহিঙ্গারা অভিনব উপায়ে মাদক পাচার করত।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, ২০১৬ সালে টেকনাফ থেকে দেড় কোটি পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। আর এর পরের বছর ২০১৭ সালে প্রায় দুই কোটি পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়, যা ২০১৮ সালে আড়াই কোটি পিস ছাড়িয়ে যায়।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.