নিউজ ডেস্ক:
নাসার মহাকাশযান ‘ক্যাসিনি’ শনি গ্রহের আরো পাঁচটি চাঁদের খোঁজ দিয়েছে। নাসা জানিয়েছে, চাঁদগুলো শনির একটি বলয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকায় সেগুলো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
দুই বছর আগে শনির বলয়ে ঢুকে পড়েছিল নাসার মহাকাশযান ‘ক্যাসিনি’। সেখানে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুঘণ্টা বাজে তার। কিন্তু তার এ মৃত্যু একেবারে বৃথা যায়নি। মৃত্যুর আগে শনিবর বরফ মোড়া বলয়গুলোতে চিরুনি অভিযান চালিয়েছিল ক্যাসিনি। এ সময়ের তার নজরে পড়ে শনির কয়েকটি বলয়ের তলায় লুকিয়ে রয়েছে পাঁচটি চাঁদ। যেগুলি পুরোপুরি বরফে মোড়া।
ক্যাসিনি তখন সেগুলোর ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছিল। সম্প্রতি সেগুলো খতিয়ে দেখে নাসার বিজ্ঞানীরা সুনিশ্চিত হয়েছেন শনির বলয়গুলির আড়ালো থাকা ওই মহাজাগতিক বস্তুগুলি আসলে শনির চাঁদই। তাদের এ বিষয়ক গবেষণাপত্রটি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ।
প্রতিবেদনে গবেষকরা জানান, ক্যাসিনির পাঠানো ছবিতে পাঁচটি চাঁদ স্পষ্ট হয়েছে। তাদের নাম দেয়া হয়েছে- ‘প্যান’, ‘অ্যাটলাস’, ‘ড্যাফনিস’, ‘প্রমিথিউস’ ও ‘প্যান্ডোরা’।
পাঁচটির মধ্যে যে দুটি চাঁদ শনির বলয়ের খুব কাছাকাছি, সেগুলোর পিঠ বেশি এবড়োখেবড়ো আর আকারে অনেকটা ডিম বা লম্বাটে আলুর মতো। ওই দুটি চাঁদের নাম ড্যাফনিস ও প্যান। অন্যগুলো বরফে ঢাকা। বাকি তিন চাঁদ- ‘অ্যাটলাস’, ‘প্রমেথিউস’ ও ‘প্যান্ডোরা’ রয়েছে শনির বলয়গুলো থেকে কিছুটা দূরে শনির একটি বড় চাঁদ এনসেলাডাসের কাছাকাছি, সেগুলির শরীর আবার গড়ে উঠেছে একেবারেই অন্যভাবে।
গবেষকরা আরো বলেন, শনির ‘এ’ ও ‘এফ’ বলয়ের মধ্যে থাকা বলয় বা এলাকাগুলোতে লুকিয়ে থাকা যে দু’টি চাঁদ (ড্যাফনিস ও প্যান) এত দিন আমাদের চোখে ধরা দেয়নি, তাদের রং লালচে। অনেকটাই তাদের কাছাকাছি থাকা শনির বলয়গুলির রঙের মতো। আর দূরে থাকা তিনটি চাঁদ- ‘অ্যাটলাস’, ‘প্রমেথিউস’ ও ‘প্যান্ডোরা’ নীলাভ। এনসেলাডাস থেকে বেরিয়ে আসছে বরফের যে ধোঁয়া, তার রংও নীলাভ!#