--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল ১১ সদস্যের কমিটিতে আছেন শুধু ১ জন

0

গত ২০১৩ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ১১ সদস্যদের কমিটি ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রতে জমা দিতে সময় বেঁধে দেয়া হলেও ৬ বছরে পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। বরং ১১ সদস্যদের মধ্যে ৯ জনই মূল দলসহ সহযোগী সংগঠনের পদ নিয়ে চলে গেছেন এবং মারা গেছেন একজন। কাজেই বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল এক সদস্য দিয়ে কমিটি টিকে আছে।
একসময়ে মহানগরীতে ছাত্রদলের শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও এখন ছাত্রদলের কোনো দূশ্যমান কার্যক্রম নেই। বিএনপির সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলসহ দলীয় কর্মসূচিতে ও বিগত আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদলের সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। একসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম আইন কলেজ, পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজ, বাকলিয়া শহীদ এন এম জে কলেজ (নোমান কলেজ) ও ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বেশ তৎপরতা ছিল। কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলও ছিল উল্লেখ করার মতো। কিন্তু সাংগঠনিক স্থবিরতায় এখন কলেজগুলোতে ছাত্রদলে অস্তিত্ব নেই। বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কমিটি না থাকায় একই অবস্থা।
এদিকে নগর ছাত্রদলের ২০১৩ সালের ২১ জুলাই ১১ সদস্যের কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন সহসভাপতি, চারজন যুগ্ম সম্পাদক ও একজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। কমিটির সভাপতি গাজী সিরাজ এখন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হন। সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। চার সহসভাপতির মধ্যে মঈন উদ্দিন শহীদ নগর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, ফজলুল হক সুমন নগর যুবদলের সহসভাপতি ও জিয়াউর রহমান জিয়া নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। চার যুগ্ম সম্পাদকের মধ্যে জমির উদ্দিন নাহিদ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক, আলী মর্তুজা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও মোশাররফ হোসেন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরেক যুগ্ম সম্পাদক জালাল উদ্দিন সোহেল মারা গেছেন। নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ এখন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। ১১ জনের মধ্যে শুধু সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী নগর ছাত্রদলে আছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের একমাত্র পদধারী সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২০১৫ সালের দিকে কমিটি ভেঙে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন কমিটি ভেঙে দেয়ার অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০১৮ সালের দিকে একবার নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিল ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্নজনের নামও এখান থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল।বর্তমানে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নতুন কমিটি এসেছে। তাই এ কমিটি ভেঙে দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মত কাউন্সিলার মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে আশা করি। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, বাছাই কমিটি ও আপিল কমিটি গঠন করে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি। আমিও ছাত্রদলে থাকতে চাই না।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহŸায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারের বাধা ও বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমায় কারণে নগর ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি। বিভিন্ন সময় আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন ছাত্রদল। নিজেদের উদ্যোগে আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। সরকারের বাধা-বিপত্তির কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ সাংগঠনিকভাবে স্থবির রয়েছে। আশা করি, ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি শিগগিরই প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে নগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা দেবে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.