পৃথিবীর সাতটি আশ্চর্য জিনিষের একটি চীনের প্রাচীর। চীনের উত্তর সীমান্তকে রক্ষার জন্য নির্মান করা হয় বিশাল এ প্রাচির। এটি মানুষের হাতে তৈরি বিশাল স্থাপথ্য। খ্রীষ্টপূর্ব ২০৮ সালে এটির নির্মান কাজ হাতে নেয়া হয়। চীনের প্রথম সম্রাট কিং সি হুয়াং প্রথম এটি ব্যবহার করেন। লম্বায় এটি প্রায় ৩ হাজার মাইল। উচ্চতা ১৫ থেকে ৩০ ফুট। প্রতিদিন বিদেশি পর্যটকের চেয়ে দেশি পর্যটকরাই এটি দেখতে আসেন বেশি। প্রতিদিন চীনের প্রাচির দেখতে আসেন ৫০ হাজার দর্শক। টিকেট বিক্রি হয় প্রতিদিন প্রায় ১৫ কোটি টাকা। বলা হয়ে থাকে এ প্রাচির দেখা যায় মহাশূন্য থেকেও!
১৫৬৯ সালে ২০ হাজার শ্রমিক এ বিশাল প্রাচির তৈরির কাজ শুরু করে। ইট ও পোড়ামাটির এক একটি ইটের ওজন ছিল ২০ কেজি। মূলত মোঙ্গলিয়ানদের আক্রমন ঠেকাতে এ প্রাচির নির্মান করা হয়। এতে তারা সফলও হয়। তবে প্রাচির নির্মানের সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ বিভিন্ন রোগের শিকার হয়ে মারা যান। আর এ প্রাচির নির্মানের স্বপ্নদ্রষ্টা বলে খ্যাত জেনারেল ছিচি গুয়াংকে হত্যা করা হয় মিথ্যা ষড়যন্ত্রে।
১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা দেয়। বেইজিং শহর থেকে ৫১ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এ প্রাচির। পাহাড়ের পাদদেমে আকাবাঁকা হয়ে এই প্রাচির চীনকে ঘিরে রেখেছে। সমতল ভূমি থেকে প্রাচিরের উচ্চতা হবে দেড় থেকে আড়াইশ কিলোমিটার। এটি চীনের জাতীয় পার্ক হিসেবে পরিচিত। এ প্রাচির নিয়ে চীনারা বেশ গর্ব বোধ করেন।