-- বিজ্ঞাপন ---

তসলিমার আকুতিতে সাড়া দিল ভারত, অনুমতি মিলেছে থাকার

0

সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহকে ধন্যবাদ জানান তসলিমা। লেখেন, ‘অমিত শাহ, দুনিয়ার সব ধন্যবাদ আপনাকে’। তার মানে সবাই বুঝে নিল, তসলিমার ডাকে সাড়া দিয়েছেন মোদি সরকার। ভারতে থাকার অনুমতি মিলেছে। বাংলাদেশের বির্তকিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন দীর্ঘ দিন দেশ ছাড়া। অনেক বছর ধরে চেষ্টা করছিলেন দেশে আসার কিন্ত অনুমতি মেলেনি। ইউরোপের অনেক দেশ ঘুরে ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ভারতে বসেই দেশের উপর নজর রাখছেন তসলিমা। মাঝে মাঝে দেশ নিয়ে কিছু মন্তব্য করে নিজেকে জানান দেন। ভারত সরকার তারঁ মেয়াদ বার বার বাড়ালেও এবার বেকে বসে। তসলিমা ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা তদবির চালালেও কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে তসলিমার থাকার মেয়াদ বেড়েছে বলে জানা গেছে।

ইসলাম বিরোধী বলে খ্যাত তসলিমা নাসরিন, ১৯৯৪ সাল থেকে দেশের বাইরে। তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। সেই থেকে ১০ বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরেফিরে থাকেন। ২০০৪ সাল থেকে ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। বিশেষ করে কলকাতায়। এখানেও তোকে নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকলে আশ্রয় নেন আমেরিকায়। পরে আবার ভারতেই ফিরে আসেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়,তসলিমা কাতর আর্জি জানিয়েছিলেন বার বার। একদিন আগে শেষ চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে সাড়া মিলল কেন্দ্রের তরফে। বর্ধিত সময়ের জন্য ভারতে থাকার অনুমতি পেলেন বাংলাদেশের সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। ভারতে থাকতে প্রয়োজনীয়, তাঁর রেসিডেন্স পারমিট পুনর্নবীকরণ হয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানালেন তসলিমা।

ভারতে থাকার অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে লাগাতার কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়ে আসছিলেন তসলিমা। একদিন আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহকে আর্জি জানান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘অমিত শাহজি, আমি ভারতে থাকি কারণ এই মহান দেশকে ভালবাসি আমি। গত ২০ বছর ধরে ভারত আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু গত ২২ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আমার বসবাসের অনুমতিপত্রের মেয়াদ বাড়ায়নি। আমি খুব চিন্তিত। আমাকে থাকতে দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ’।

তসলিমা টুইটারে লেখেন ‘ Dear AmitShahji Namaskar. I live in India because I love this great country. It has been my 2nd home for the last 20yrs. But MHA has not been extending my residence permit since July22. I’m so worried.I would be so grateful to you if you let me stay. Warm regards.‘

এর পরই, মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহকে ধন্যবাদ জানান তসলিমা। লেখেন, ‘অমিত শাহ, দুনিয়ার সব ধন্যবাদ আপনাকে’। শাহের উদ্যোগে তাঁর ভারতে থাকার অনুমতিপত্রের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছে কি না যদিও খোলসা করেননি তসলিমা। তবে, একদিন আগে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর ওই আবেদন এবং তার পর দিনই শাহকে ধন্যবাদজ্ঞাপন, ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেন না তসলিমা।  ইসলামি দলগুলোর ভয়ে দেশছাড়া তিনি. ১৯৯৩ সালে তসলিমার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার পর ক্ষমতায় রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। জামাত-ই-ইসলামি বাংলাদেশের উপর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এরপর থেকে চিন্তিত তসলিমা নাসরিন।

ভারতে থাকার অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তসলিমা। পাশাপাশি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। ক্ষমতায় আসীন ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিখে চলেছেন তসলিমা। জানিয়েছেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তাই ইউনূসের সরকার বেআইনি বলে অভিযোগ তসলিমার। টুইটারে মাঝে মাঝে এখনও মাঝে মাঝে সক্রিয় থাকেন তসলিমা নাসরিন।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.