এত কড়াকড়ি, এত সাবধানতা সব কিছু বিফলে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও পাওয়া গেল বাংলাদেশী কোভিড পজেটিভ কর্মী। তারা কিভাবে কোয়ারেন্টাইন না করেই কোরিয়া গেল, এ প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া না গেলেও প্রশ্ন উঠেছে মুষ্টিমেয় লোকের কারনে কোরিয়ান বাজার বন্ধ হলে এর দায়ভার কে নেবে। অথচ বিষয়টি নিয়ে বিস্তর লেখালেখির পর বোয়েসেল এবং কোরিয়াস্থ সিউল দূতাবাস সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তারপরও বাংলাদেশ থেকে কোরিয়া যাচ্ছে পজেটিভ নিয়ে। সেখানে টেস্টে ধরা পড়ছে। আর তার জবাব দিতে হচ্ছে দূতাবাসকে। ক্রমশ হুমকির মূখে পড়তে যাচ্ছে কোরিয়ার শ্রম বাজারসহ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত।
বোয়েসেল সূত্র জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়মিত এম্প্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) কর্মীদের ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু ও কোভিড হোক প্রতিরোধকল্পে গত ১২ এপ্রিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ থেকে সকল যাত্রী (বিদেশি নাগরিকসহ) দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের পূর্বে কোরিয়ান কীট দ্বারা কোভিড টেস্টসহ ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে। ২৬ জন যাত্রী কোরিয়া গমনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে গত ১৭ মে ৬ জন যাত্রী সাতদিনের কয়োরেন্টাইন সম্পন্ন করে দক্ষিণ কোরিয়া গমন করেন । অবশিষ্ট যাত্রীরা দক্ষিণ কোরিয়া গমনের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
কিন্ত বাংলাদেশ দূতাবাস গত ১৮ মে তারিখে জানায়, বাংলাদেশ থেকে আসা ২ জন কর্মীর টেস্টে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। পরে বোয়েসেল জানায়, যে দু’জনের শরীরে কোভিড পজেটিভ এসেছে তারা কোয়ারেন্টাই না মেনে কোরিয়া গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি করে সম্ভব। কারও কি কোন গাফিলতি আছে।
সূত্র জানায়, যেখানে বাংলাদেশীদের জন্য কোরিয়ার শ্রম বাজার পুনরায় খুলতে দূতাবাস সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। গত এক বছরে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বার করা কোরিয়ার বন্ধ দরজা খোলার চেষ্টা চলছে সেখানে পুরো শ্রম বাজারকে হুমকরি মুখে ফেলা হচ্ছে কেন। এত কড়াকড়ির পরও কিভাবে কোভিড পজেটিভ কর্মী কোরিয়া যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে দূতাবাসের ফেসবুক পেজ এ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিতে অনুরোধ জানান।
আজ ১৬ তারিখেও কোভিডে আক্রান্ত ২জন কোরিয়ায় গিয়েছে। এটা খুব ই দুঃখজনক! এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠবেনা।
কোরিয়ানরা খুব-ই ভীতু জাতি। সহসাই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কোন দেশ থেকে সহজেই কাউকে নিতে চাইবেনা, তাদেরদিক থেকে ১০০% নিশ্চিত না হওয়া পযর্ন্ত!!
আমাদের পরপর ২-৩ মাস কোরিয়ায় কোভিড আক্রান্ত কেউ না গিয়ে প্রমান করে দিতে হবে বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট সচেতন ও কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। এভাবেই এখন কোরিয়ানদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
এরপর সেই গত ২-৩ মাসে কেউ কোভিডে কোরিয়া যাইনি তা কোরিয়ান দূতাবাস+ পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে রেফারেন্স হিসেবে দেখিয়ে বারংবার ভিসা চালুর জন্যে অনুরোধ করা যাবে। এছাড়া আদত আর অন্য কোন উপায় নেই!!
বাঙালী নিজ থেকে সহজেই সচেতন হওয়ার জাতি না একদম বাধ্য না করা পযর্ন্ত। নোটিশের ফাঁকফোকর ঠিক ই বের করে নিবে যা ইতিমধ্যে হচ্ছেও।
বোয়েসেল কি পারবে সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন করে যথাযথ ভাবে করোনা টেস্ট সম্পূর্ণ করে কোরিয়া পাঠাতে নাকি লোকদেখানো নোটিশ জারি করেই দায়িত্ব শেষ!? নইলে এখনো কিভাবে যে-কেউ কোয়ারান্টাইন না করেই কোরিয়া যাচ্ছে!?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন অনেক বড়ো একটা ফ্যাক্ট। অন্তত, আমাদের সকলের উচিত
#BOESL #Embassy of Bangladesh in Seoul প্রতিটি পোস্টে সমালোচনার ঝড় তোলা। তাদেরকে আরো বেশি কঠোর হওয়ার অনুরোধ করা।
Md Istiak Ahammed
Embassy of the Republic of Korea in Bangladesh 주방글라데시 대한민국 대사관
We are making efforts to resume issuing new visas. But it also requires efforts and help from the Bangladesh nationals as we still continuously find COVID-19 positive cases among Bangladeshi arrivals in Korea. If there is no COVID-19 cases among Bangladeshi nationals arriving in Korea for four weeks, the current unfortunate measure might be lifted. In this prolonged worldwide COVID-19 pandemic, everybody is suffering in one way or the other. We pray that the time to go back to the pre-pandemic comes sooner than later. Thank you for your understanding
Ashikul Islam
অপরাধী যে শুধুমাত্র চারজন সেইটা কিভাবে নিশ্চিত করে বলা যেতে পারে,,, এতদিন তো অনেক ফ্লাইটে অনেক মানুষ আসছে তাদের হিসাব কোথায় এটা দায় সারানো নাকি তদারকি? আমি সন্দিহান? এই নোটিশ ঘোষণার পর থেকেতো অনেক ফ্লাইট হয়েছে সেইখানে বোয়েসেল এবং দূতাবাস কি ভূমিকা রেখেছে? আমরা এখন সবই জানতে চায় ইপিএস আজ হুমকির মুখে।
Md Sohag Ali
সঙ্গোনিরোধ সার্টিফিকেট ছাড়া এরা ফ্লাইট পাই কিভাবে। এভাবে যাওয়ার সুযোগ বোয়েসল বা দূতাবাস দিল কেন। সঙ্গনিরোধ থাকাটা বাধ্যতামূলক করা হলো না কেন? ২/৪ জনের জামানত পাওয়াটা কি জরুরি নাকি হাজার হাজার কর্মীর কোরিয়া যাওয়া নিশ্চিত করা জরুরি।
এদের পাসপোর্ট বাতিল করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করুণ। একজনের পাপ যেন অন্যজন না পাই। বাঙালীকে নরম করে বললে কোন কথা মানবে না।
MD Abdur Rahman
ই-৭ ভিসার দুই ব্যক্তির কারণে আবারও পিছিয়ে পড়ার সম্ভবনা শত শত কমিটেড আর জেনারেল ইপিএস কর্মীর ফ্লাইট। এই দায়ভার কার?
তাহলে কেন বুয়েসেল ও বাংলাদেশ দূতাবাস কঠোর পদক্ষেপ ও আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করছে না?? এমন জঘন্যতম কাজের প্রতি সকল ইপিএস কর্মী ঘৃনা পোষন করেছে, আমরা ইপিএস কর্মীরা কোরিয়া যাওয়ার জন্য সকল প্রকার সচ্ছ নিয়ম মেনে কোরিয়া প্রবেশ করতে সবসময় প্রস্তুত আছি।
বোয়েসেলের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ
দেশ থেকে যেন বোয়েসেলের ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন ছাড়া কেউ না যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করুন।
Sultan Bin Shofiq
আপনারা দয়া করে সময়ের কাজ সময়েই করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। দ্রুত ভিসা চালুর জন্যে আরো কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ান । না পারলে দয়া করে পদত্যাগ করুন। লক্ষনীয়,
#Embassy of Bangladesh in Seoul দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কূটনৈতিক তৎপরতার চালানের ব্যাপারে খুবই দূর্বল এতে আমরা যারপরনাই হতাশাগ্রস্ত বিরক্ত।।
Abul HosSain Liton
আইনের হাতে তুলে দেন,, এদেরকে কঠিন বিচার করার ব্যবস্থা করুন,, যাতে ভবিষ্যতে এমন সাহস কেউ না করতে পারে,,এরা নিজে বাচি অন্য মরে যাক তাতে কোন যায় আসে না,,,