-- বিজ্ঞাপন ---

সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব ও আমাদের জাতীসত্ত্বা : পর্ব – ১

কাজী ফেরদৌস, অতিথি লেখক#

স্পষ্টতই এখন বাংলাদেশের মানুষ দ্বিধা বিভক্ত। একপক্ষ পুরোপুরি ভারত পন্থী এবং ফ্যাসিবাদের সমর্থক। এরা সবাই মোটামোটি সেকুলার ঘরানার লোকজন । অপরপক্ষ একেবারে ভারত বিরোধী এবং মোটামুটি ডানপন্থী এবং কমবেশি ইসলাম পন্থী। তবে দ্বিতীয় গ্রুপের মধ্যে মতানৈক্য প্রকট। তুলনা মূলক ভাবে প্রথম পক্ষ মোটামুটি সংঘবদ্ধ এবং বুদ্ধি বৃত্তিক দিক থেকে অগ্রসর মনে করা হয় । এরা পশ্চিম বঙ্গের শান্তিনিকেতনী সংস্কৃতি কে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি মনে করে। এদের সাাংস্কৃতিক আইকন হলো রবীন্দ্রনাথ এবং এদের তীর্থ স্থান হলো শান্তিনিকেতন। তুলনায় অপরপক্ষ অনেকটা অসংঘবদ্ধ এবং বিক্ষিপ্ত। ওদের মধ্যে চিন্তার ঐক্য নেই যদিও এরা বাংলাদেশের মূল ধারার সংস্কৃতির অনুসারী বলে মনে করা হয় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে ধরে নেয়া যায় । আমাদের জাতী সত্ত্বায় ও সংস্কৃতির এই ফাটল রেখা ধরেই বিভাজন তৈরি হয়েছে বলেই মনে করা যায়। এই বিভাজন সৃষ্টি হয় সেই সাতচল্লিশের দেশ ভাগ থেকে। ঐ সময় এপার বাংলার মুসলমান জনগোষ্ঠীর একটা ক্ষুদ্র অংশ তখন ধর্মভিত্তিক বা দ্বিজাতি তত্ত্ব ভিত্তিক বাংলার বিভাজন মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না। এমনকি ভারত বিভাজন ও। তাদের বেশির ভাগ ছিল কমুনিষ্ট এবং সেকুলার। তারা ছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর উইলিয়াম কেরীর নেতৃত্বে হিন্দু বাঙালি জাগরনের মুসলিম সংস্করণ। তবে তারা ছিল একবারে সংখ্যালঘু তবে বুদ্ধি বৃত্তির দিক থেকে ছিল অগ্রসর । তারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসে বিশ শতকের শুরুর দিকে । তাদের দীক্ষা গুরু ছিল শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু কবি সাহিত্যক ও কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁদের আইকন। এঁদেরই একজন হলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। যিনি ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের পর পাকিস্তানের চর এই অপবাদ মাথায় নিয়ে তিনি ঢাকায় ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু গলাধাক্কা খেয়ে পশ্চিম বাংলা থেকে ফিরে এসে ও তাঁর শান্তিনিকেতনি সংস্কৃতি প্রীতি এতটুকু ও কমেনি।
এপার বাংলার সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণ ছিল মুসলমান এবং কৃষক। তারা দেশ ভাগ তথা পাকিস্তান আন্দোলন সমর্থন করে ছিল মূলত জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হবে এই আশায়। কারণ তারা সুদীর্ঘ দেড়শ বছরের বেশি সময় ধরে হিন্দু জমিদার ও মহাজন কর্তৃক শোষণ বঞ্চনার শিকার হয়ে ছিল লর্ড কর্নওয়ালিস এর প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর থেকে । তারা দ্বিজাতিতত্ত্বের মতো এতো জটিল তাত্ত্বিক বিষয় বুঝতে সক্ষম ছিল না। সুতরাং দেশ ভাগ হওয়ার পর জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের পর তাদের কাছে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি তেমন আকর্ষণ আর রইলো না। আসল সত্রু দৃশ্যপট থেকে সরে যাওয়ায় নুতন কল্পিত সত্রু সামনে এসে পড়ে। তারা হলো অবাঙালী পাকিস্তানি যাদের মধ্যে ছিল শিল্পোদ্যোক্তা এবং বড় পদ ধারী আমলা৷ তারা পাকিস্তানে এসেছিল প্রধানত উত্তর প্রদেশ দিল্লি পাঞ্জাব এবং পশ্চিম বঙ্গের কোলকাতা থেকে। তারা শিক্ষা দিক্ষায় এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলার মুসলমানদের ছেয়ে অনেক অগ্রসর ছিল । একারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের সুপেরিয়রিটি কমপ্লেক্স ছিল। অপরদিকে অনগ্রসর পূর্ব বাংলার মুসলমানদের মধ্যে ছিল কিছু টা হীনমন্যতাবোধ। এখান থেকেই শুরু বিবাদ। তদুপরি পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব বাংলার ভৌগোলিক দুরত্ব এবং ভাষা ও সংস্কৃতির পার্থক্য টা সামনে চলে আসলো। সাতচল্লিশেই সোহরাওয়ার্দী আবুল হাসিম আবুল মনসুর শরত বসু সহ কতিপয় অসাম্প্রদায়িক হিন্দু চেষ্টা করে ছিলেন একটা স্বাধীন যুক্ত বাংলা সৃষ্টি করার। পাকিস্তানের শ্রষ্ঠা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সোহরাওয়ার্দী আবুল হাসিম গং কে তাদের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন বলে জানাযায়। কিন্তু বাধা আসে কংগ্রেসের কট্টরপন্থীদের দিক থেকে। ১৯০৫ সালে তারা বঙভঙ্গের বিরোধিতা করলে ও সাতচল্লিশে তারা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে অবস্থান নেয়। তদুপরি কোলকাতার ছেচল্লিশের ভয়াবহ দাঙ্গা সাম্প্রদায়িক তিক্ততার ডামাডোলে দুই বাংলার ঐক্য পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। শেষপর্যন্ত কংগ্রেস এবং শিখ জনগোষ্ঠীর অসহযোগিতার কারনে পাঞ্জাব এবং বাংলা ভাগ হয়ে যায়। হাজার মাইলের দুরত্বে অবস্থিত পাঁচটি ভিন্ন ভাষাবাসী ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মনোজগতে বিভক্তির একটা ফাটল রেখা থেকেই যায়। সেটা মেরামত করার কোন সুদৃঢ় ইচ্ছা বা মনোভাব পাকিস্তানের রাজনীতিবিধদের মধ্যে কখনো জোড়ালো ভাবে দেখা যায় নি।ফলে পাকিস্তান রাষ্ট্র টি কখনো শক্তিশালী জাতি সত্ত্বা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়নি ।

পাকিস্তানী সাংবাদিক নজম ষেটির মতে – ” Before 1947 Pakistan was a nation looking for a state. After fifty years of independence Pakistan is now a state looking for a nation. স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর দেখা গেল পান্জাবী পাঞ্জাবী রয়ে গেছে সিন্ধি সিন্ধি রয়ে গেছে পাঠান পাঠানই রয়ে গেছে বালুচ বালুচই রয়ে গেছে। কেউ পাকিস্তানী হয়নি। তারা জাতিসত্ত্বার স্বরূপ নির্ধারণে দারুন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে পুর্বাঞ্চলের বাঙ্গালীরাতো আলাদা স্বাধীন বাংলাদেশই বানিয়ে ফেলছে। “আসলে পাকিস্তানের রাজনীতিবিধ গন দুরদর্শিতার পরিচয় দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল । তারা ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ি তে ব্যস্ত ছিল। তদুপরি এক বছরের মাথায় পাকিস্তানের জনক জিন্নাহর মৃত্যু এবং চার বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের মৃত্যু পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। লিয়াকত আলীর অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে ও পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যায়। ততোদিনে বাঙালি অবাঙালী ইস্যু ও দাঁড়িয়ে যায় এবং রাষ্ট্র ভাষা প্রশ্ন উসকে দিয়ে কমু্নিষ্ট পার্টি কংগ্রেস এবং তথাকথিত ছদ্মবেশী তমদ্দুন মজলিস ফায়দা হাসিলের ষড়যন্ত্রের বীজ সফল ভাবে বপন করতে সক্ষম হয়। প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন সোহরাওয়ার্দী এরা ছিল রাষ্ট্র ভাষা উর্দুর সমর্থক এমনকি শেরেবাংলা ও ছিলেন নমনীয়। সুতরাং আগুন জ্বলতে বেশি সময় লাগে নি।
এর মধ্যে ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান এর সামরিক আইন জারি এবং সংবিধান বাতিল এবং ১৯৫৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য সাধারন নির্বাচন বাতিল এবং একাক্রমে আইয়ুব খান এর দশ বছরের একনায়কতান্ত্রিক শাসন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি হুমকির মুখে পড়ে যায়। আঞ্চলিকতার আবেগ প্রবল হতে থাকে। পশ্চিম পাকিস্তানে ভুট্টো এবং পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিবের মতো প্রাদেশিক নেতার উত্থান এবং আইয়ুব খান এর বিদায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।

একটা রক্তাক্ত যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলা পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন দেশের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তবে সেই মুক্তির লড়াইয়ে ভারতের সম্পৃক্ততা বাংলাদেশের জন্য নুতন আত্মপরিচয়ের সংকট সৃষ্টি করে। স্বাধীনতার বছর দুই এক যেতে না যেতেই পূরনো সাংস্কৃতিক সংকট আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। পুরনো প্রশ্ন আবার নুতন করে সামনে চলে আসে মুক্তি যুদ্ধের ডামাডোলে যেই প্রশ্ন চাপা পড়ে গিয়েছিল। আবার নুতন করে প্রশ্ন দেখা দেয় আমরা কি প্রথমে বাঙালি না মুসলমান, আমার কি বাঙালি না বাংলাদেশী? আমাদের মূল ভিত্তি কি দ্বিজাতিতত্ত্ব নাকি ধর্ম নিরেপক্ষতা? তবে ষাটের দশকে জাতিসত্বার দ্বন্দ্ব টা শুরু করে ছিল কমুনিষ্ট এবং তাদের সহযোগী কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন। উদীচী, ছায়ানট, বাফা এবং কতিপয় কবি সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মী যারা সবাই ছিল বাম ঘরানার এবং পাকিস্তান বিরোধী। তারা ঘটা করে পহেলা বৈশাখ বর্ষ বরণ পালন রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন শুরু করে বাঙালিত্বের জানান দিতে শুধু করে। তাদের পরিকল্পনা ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ এর প্রসার ঘটিয়ে একটা স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলা সৃষ্টি করা। কিন্তু ভারতীয় কমুনিষ্ট পার্টির লক্ষ্য ছিল ইউনাইটেড ইন্ডিয়া। কিন্তু পূর্ব বাংলায় তাদের ভুমিকা ছিল অনেক টা বিচ্ছিন্নতাবাদী।কারণ পূর্ব বাংলার অধিকাংশ কমুনিস্ট নেতা ছিলেন হিন্দু। তারা দেশ ভাগের পর ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কে প্রাধান্য দিয়েছিলেন একবারে শুরু থেকেই। তারা একই সাথে আওয়ামী লীগ বিরোধী এবং শেখ মুজিব বিরোধী ও ছিল প্রথম দিকে । শেখ মুজিব কে তারা মনে করতো অকাট মুর্খ একজন গলাবাজ। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের দমন পীড়ন এর ফলে এদের বড় অংশ টি ভিড়ে যায় লাল মওলানা খ্যাত ভাসানীর সাথে এবং ক্ষুদ্র অংশ টি শেখ মুজিব তথা আওয়ামী লীগের সাথে।
কিন্তু ষাটের দশকের শেষ প্রান্তে মুজিবের ছয়দফা আন্দোলন এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পথ ধরে পূর্ব পাকিস্তান উত্তপ্ত রণাঙ্গনে পরিনত হয় এবং আইয়ুব খান এর পতনের মধ্যে দিয়ে একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায়। মুজিব তখন পাকিস্তানে গৃহবন্দী। তাঁর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা হয়ে যায় তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি পুরো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কে ভারত এবং রাশিয়ার অধীনস্থ করে ফেলে। এই সুযোগে বাংলাদেশের পুরো সাংস্কৃতিক অঙ্গন বাম ঘরানার লোকজনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং বামা ঘেঁষা কবি সাহিত্যিক সাংস্কৃতিক সংগঠক সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থক বনে যায়। আওয়ামী লীগের দুর্বল সাংস্কৃতিক বলয় তাদের কব্জায় চলে যায়। রাজনীতির অঙ্গন আওয়ামী লীগের দখলে থাকলে ও তারা আর কখনো সাংস্কৃতিক অঙ্গন দখল করতে পারে নি। ওরা বাম ঘরানার সংস্কৃতির লেজুড়বৃত্তি করতে থাকে। এবং সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে।
বামদের সংস্কৃতির আখড়া হলো শান্তি নিকেতন এবং তারা পশ্চিম বাংলার বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতি যেটার উৎপত্তি ও বিকাশ বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের হাত ধরে সেটাকেই তারা সার্বজনীন বাংঙালি সংস্কৃতি বলে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এভাবে তারা এপার বাংলার মানুষের আলাদা সাংস্কৃতিক সত্তা কে মুছে দিয়ে স্বতন্ত্র জাতি সত্ত্বা কে মুছে ফেলে হাজার বছরের অভিন্ন বাঙালি সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়।পচ্চিম বঙের বুদ্ধিজীবী সমাজ এবং রবীন্দ্রনাথের শান্তি নিকেতন হলো এর প্রধান পৃষ্ঠ পোষক। বাংলাদেশের বেশির ভাগ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং তথাকথিত প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মী এই ধারার পৃষ্ঠ পোষক। আওয়ামী লীগ এই ধারার প্রধান রাজনৈতিক পৃষ্ঠ পোষক। এছাড়া সিপিবি সহ অপরাপর বাম ঘরানার রাজনৈতিক দল গুলো এই সংস্কৃতির সমর্থক।
বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির সাংস্কৃতিক কোন শক্তি বলতে কিছু নেই। ফরহাদ মজহার ২০০৭ সালে এক প্রবন্ধে বলেছিলেন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ হলো সবচেয়ে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তের দল আর বিএনপি হলো সংস্কৃতি বিহীন সংঘবদ্ধ এক মুর্খের দল। আমার ধারণা এটা একেবারে যথার্থ মূল্যায়ন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চেষ্টা করে ছিলেন ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বিরোধী একটা কালচারাল ফ্রন্ট গড়ে তুলতে। কিন্তু তাঁর উত্তরাধিকারীরা সেটা আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে নি আন্তরিকতার অভাবে। বিএনপির একটা কালচারাল ফ্রন্ট আছে। নাম জাসাস। তাদের কাজ হলো ক্ষমতায় গেলে সুযোগ সুবিধা আদায় করা। কার্যকর কোন সাংস্কৃতিক সংগঠন বিএনপি জিয়া পরবর্তী সময়ে আর গড়ে তলতে সক্ষম হয় নি। তবে তুলনায় জামাতে ইসলাম এর শক্তিশালী একটা কালচারাল ফ্রন্ট আছে বলে জানা যায়। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের মত বিশাল জনগোষ্ঠীর তুলনায় অতটা জোরালো নয়।তদুপরি বাংলাদেশের মিডিয়ার বিশাল অংশ টা নিয়ন্ত্রণ করে সেকুলার ও বাম ঘরানার লোকজন। সুতরাং জামাতের ক্ষুদ্র দুর্বল কণ্ঠ আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তেমন আলোড়ন তৈরি করতে পারেনি। (চলবে)#

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.