-- বিজ্ঞাপন ---

২০২৫ সালের নিরাপত্তা সূচক অনুযায়ী কোন দেশগুলো সবচেয়ে নিরাপদ

দ্বিতীয় স্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাত

২০২৫ সালের নিরাপত্তা সূচক অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) বিশ্বের দ্বিতীয় নিরাপদ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে, ৮৪.৫ পয়েন্টের একটি চমৎকার নিরাপত্তা সূচক স্কোর অর্জন করে। আন্দোরা প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৮৪.৭ পয়েন্টে, একইভাবে কাতার তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে, তার পরেই চতুর্থ স্থানে অবস্থান করেছে তাইওয়ান।

আন্দোরা একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ডের দেশ, যা দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত। এটি ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যবর্তী পাইরিনী পর্বতমালায় সন্নিবেশিত। আন্দোরা একটি অভ্যন্তরীণ রাজ্য, যা কোনো উপকূল বা সাগরের সংস্পর্শে নেই। এটি ইউরোপের অন্যতম ক্ষুদ্র দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং সেখানকার প্রধান ভাষা কাতালান।

এই বছর, GCC(Gulf Cooperation Council) দেশগুলো এই সূচকে আধিপত্য বিস্তার করেছে, যেখানে ওমানও কাতারের সাথে শীর্ষ পাঁচে স্থান পেয়েছে, বিশ্বব্যাপী পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।

এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২৫ সালের ক্রাইম ইনডেক্সে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অপরাধ হার হিসেবে স্থান পেয়েছে, যা তার বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ হিসেবে খ্যাতি আরো শক্তিশালী করেছে।

নামবিওর তথ্যটি তাদের ব্যবহারকারীদের মধ্যে পরিচালিত জরিপের উপর ভিত্তি করে, যেখানে বৈজ্ঞানিক এবং সরকারি জরিপের আদলে প্রশ্ন করা হয়। এই জরিপগুলো অপরাধের স্তর, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, এবং সম্পত্তি ও সহিংস অপরাধের অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে নিরাপত্তা ও অপরাধ সূচক তৈরি করতে সহায়ক।

২০২৫ সালের নিরাপত্তা সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ২০টি সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হলো:

১. আন্দোরা – ৮৪.৭
২. সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) – ৮৪.৫
৩. কাতার – ৮৪.২
৪. তাইওয়ান – ৮২.৯
৫. ওমান – ৮১.৭
৬. আইল অফ ম্যান – ৭৯.০
৭. হংকং – ৭৮.৫
৮. আর্মেনিয়া – ৭৭.৯
৯. সিঙ্গাপুর – ৭৭.৪
১০. জাপান – ৭৭.১
১১. মনাকো – ৭৬.৭
১২. এস্তোনিয়া – ৭৬.৩
১৩. স্লোভেনিয়া – ৭৬.২
১৪. সৌদি আরব – ৭৬.১
১৫. চীন – ৭৬.০
১৬. বাহরাইন – ৭৫.৫
১৭. দক্ষিণ কোরিয়া – ৭৫.১
১৮. ক্রোয়েশিয়া – ৭৪.৫
১৯. আইসল্যান্ড – ৭৪.৩
২০. ডেনমার্ক – ৭৪.০

নিরাপত্তা সূচক (Safety Index) সাধারণত বিভিন্ন ধরনের জরিপ এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে: অপরাধের স্তর: অপরাধের ঘটনা যেমন চুরি, ডাকাতি, সহিংস অপরাধ, ধর্ষণ ইত্যাদি কতটা ঘটছে, তা পর্যালোচনা করা হয়। এই তথ্য সাধারণত পুলিশের রিপোর্ট এবং জনগণের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়। সম্পত্তি সম্পর্কিত অপরাধ: চুরি, দখল, গাড়ি চুরি, ইত্যাদি অপরাধের পরিসংখ্যানও নিরাপত্তা সূচকের একটি অংশ। সহিংস অপরাধ: রক্তক্ষয়ী হামলা, হত্যাকাণ্ড, হামলা ইত্যাদির হার পর্যালোচনা করা হয়। মানুষের নিরাপত্তা সম্পর্কিত অনুভূতি: জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ধারণা এবং উদ্বেগ কতটা, তা পরিমাপ করা হয়। এই ধরনের জরিপে সাধারণ জনগণের মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুলিশ সেবার মান: পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম, তাদের সাড়া দেওয়ার সময় এবং অপরাধ দমন করতে তাদের সক্ষমতা নিরাপত্তা সূচককে প্রভাবিত করে। বিশ্বস্ততা ও আইনগত পরিবেশ: দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা এবং সরকারের আইন প্রয়োগের সক্ষমতা।

নামবিও (Numbeo) এবং অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাধারণত এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে, জরিপের মাধ্যমে জনগণের অভিজ্ঞতা এবং পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা সূচক নির্ধারণ করে।##

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.