বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে প্রথম সারিতে অবস্থান করলেও অন্য ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি ইতিবাচক এবং বৈষম্যহীন মনোভাবের একটি আদর্শ দেশের নাম হচ্ছে জাপান। বর্তমানে জাপানে বসবাসরত মোট মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারী লোকের সংখ্যা প্রায় ২.৫ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষের কাছাকাছি হতে পারে।
জাপানের ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটির টানাডা হিরোফুমির এক জরিপের তথ্যমতে, গত এক দশকে জাপানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। জাপানে মোট ১১০ বা তার অধিক মসজিদ রয়েছে।
জাপানের দুটি প্রাচীন মসজিদ হচ্ছে কোবে মসজিদ এবং টোকিও জামি মসজিদ। বিশেষ করে ১৯৩৮ সালে তুরস্কের অটোম্যান স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত টোকিও জামি জাপানের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ হিসেবে এখনো পর্যন্ত টিকে রয়েছে।
তবে জাপানে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ৩০ এর দশকে প্রথম একটি মসজিদ স্থাপনের মাধ্যমে ইসলামের জয়যাত্রা সূচিত হয়। বিশেষ করে জাপানের প্রথম ঐতিহাসিক মসজিদটি হচ্ছে কোবে মসজিদ। এটি জাপানের বাণিজ্যিক নগরী ওসাকার কুবে শহরের অবস্থিত।
কোবে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় ১৯২৮ সালে এবং ১৯৩৫ সালে মসজিদটির নির্মাণ শেষ হয়। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এটি জাপানের নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সামরিক ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে জাপানের নৌবাহিনী কোবে মসজিদটি মেরামত করে আবার স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে একটি আদর্শ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও জাপানের সরকার এবং সাধারণ মানুষ কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে এসেছে। বিশেষ করে জাপানে ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরুর শতবর্ষের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে টিকে রয়েছে এই কোবে মসজিদ।##(তথ্য ও ছবি সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.